ফতুল্লায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম ফাতেমা আক্তার রেখা (৪৫)। অভিযুক্ত হত্যাকারী মোক্তার হোসেন ফাতেমা আক্তার রেখার দ্বিতীয় স্বামী।
এ ঘটনার পর থেকে মোক্তার হোসেন তার নয় বছরের শিশু সন্তানসহ পলাতক রয়েছে। নিহত ফাতেমা আক্তার রেখা ফতুল্লা মডেল থানার কাশিপুর হাজীবাড়ী স্কুল রোড সংলগ্ন মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে।
রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে ফতুল্লার কাশিপুর হাজিপাড়াস্থ স্কুল গলির নিজ বাড়ী থেকে নিহতের রক্তাক্ত উদ্ধার করে পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময়ে নিহতের দ্বিতীয় স্বামী মোক্তার হোসেন বাসায় প্রবেশ করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই সুমন জানায়, বনিবনা না হওয়ায় বিশ বছর পূর্বে প্রথম স্বামীর সাথে তার বোনের ডিভোর্স হয়। পনেরো বছর পূর্বে তার বোন মোক্তার হোসেন কে বিয়ে করে। মোক্তার হোসেন প্রাইভেট গাড়ীর চালক ছিলেন। তার বোনের পূর্বের সংসারে সাদিয়া (২০) নামক একটি মেয়ে রয়েছে। সে মেয়ের বিয়েও হয়েছে। আর বর্তমান সংসারে মাশরুল (৯) নামক একটি শিশু সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তার বোন তাদের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করতো।
বেশ কয়েক মাস যাবৎ বনিবনা হচ্ছিলোনা বর্তমান স্বামী মোক্তার হোসেনের সাথে। ফলে গত দুই মাস পূর্বে মোক্তার হোসেন নয় বছর বয়সী মাশরুম কে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে একই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করে।
দেড় মাস পূর্বে রাস্তায় একা পেয়ে তার বোনের গালে ছুরি দিয়ে পোচ দেয় স্বামী মোক্তার হোসেন। যা থানা পুলিয় গড়িয়েছিলো। এ নিয়ে তার বড় ভাই মোক্তার কে চড়-থাপ্পড় মেরেছিলো।
শনিবার রাতে তার বোন রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরে। সকাল আটটার দিকে তার মা ডাকতে গেলে নিহতের রক্তাক্ত দেহ ঘরে পরে থাকতে দেখে ডাক- চিৎকার করলে তারা সেখানে যায়।
সেখান থেকে তারা তার বোন জামাইয়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখতে পায় তার বোন জামাই ভাগিনা মাশরুম কে নিয়ে ঐ বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছে। তার ধারনা রাতের কোন এক সময়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা খুলে তার বোন জামাইসহ একাধিক খুনি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তার বোনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবু হানিফ জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট বুজিয়ে দেয়া হয়েছে। নিহতের মাথার পেছনে ও সামনে মুখমন্ডলে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।