১২নং ওয়ার্ড ডনচেম্বার এলাকায় ছিঁচকে চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। গাঁজাসহ নানা নেশার টাকা জোগার করতে এমন ছোট ছোট চুরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বর্তমানে রাতে পুলিশী টহল না থাকায় চোরের দল কৌশল পাল্টেছে চুরির। দিনের বেলা কিংবা রাতের শুরুতেই বিভিন্ন বাসা থেকে মোবাইল ফোন, কাপড়ছোপড় ও দামি জুতা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এসব চায়ের দোকানে চোরের দল আড্ডা দিয়ে থাকে এবং চুরির প্ল্যান করে। চায়ের দোকানগুলোতে পুলিশী অভিযান না থাকায় এসব অপরাধ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
পর্যাপ্ত সিকিউরিটি এবং সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা স্বত্তেও চোর হানা দিয়েছে সকাল নারায়নারায়ণগঞ্জের অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিবারের বাসায়। সাংবাদিক পরিবারের অভিযোগ,রাত ৩ টার দিকে সাংবাদিক পরিবারের সকল সদস্য যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন ঠিক ওই সময় ঘরের জানালা খুলে চোরের দল ক্যামেরা,গিম্বল,মোবাইল,নগদ টাকাসহ থাকা ব্যাগটা জানালা দিয়ে বের করে চুরি করে নিয়ে যান।
এলাকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাসা বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়লেও রাস্তা-ঘাটে-মোড়ে তেমন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন না করা, পাড়া মহল্লায় আগের মতো পুলিশের নিয়মিত টহলের অনুপস্থিতির কারণে চোরদের উৎপাত বেড়ে গেছে।এইসকল চোরের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা সাইকেল,রড,সিমেন্ট,বালু,মোবাইল,হাসঁ-মুরগি সহ অন্যান্য জিনিসপত্র।
অপরদিকে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানান,এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় চোরের দল ১২ নং ওয়ার্ডের সর্বত্র চুরি করে বেড়াচ্ছে। এইসকল প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের ভয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে মামলা করতেও পিছু-পা হচ্ছেন।