নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করেই নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট নামের একটি বাস কোম্পানী। চলাচলের জন্য ৩০টি বাসের অনুমোদন নেয়া হলেও চলছে ৭০/৮০টি বাস। কাউন্টারের অস্তিত্ব নেই কোথাও ফলে যত্রটত্র উঠানামা করছে যাত্রীগণ। প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে চন্দ্রা, ইপিজেড, নবীনগর, সাভার, হেমায়েতপুর, গাবতলী, শ্যামলী, আসাদগেট, আজিমপুর, বকশীবাজার, চানখারপুল চলাচল করছে এই বাসটি।
রুট পারমিট কাগজপত্রে যা আছে তা মানছেনা বাসের সংশ্লিষ্টরা। কথাছিল বাস ছাড়া হবে ২নং রেলগেট থেকে এবং তা বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে চাষাঢ়া গোলচত্তর ঘুড়ে প্রবেশ করবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে। কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। যাত্রী উঠানো হচ্ছে খানপুর ৩শ’শয্যা হাসপাতালের সামনে থেকে ভাসমান অবস্থায়। এরপর যাত্রী উঠানো হয় চাষাঢ়া আর্মি মার্কেটের সামনে থেকেও। মৌমিতা বাসের কারণে খানপুর ৩শ’শয্যা হাসপাতালের সামনে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকছে। ফলে হাসপাতালে আসা রোগীরাতো আছেই মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স পড়ছে বিড়ম্বনায়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে এক আপদে পরিনত হয়েছে মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী।
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত পরিবহনটির রুট পারমিট থাকলেও আইন অমান্য করেই প্রবেশ করছে শহরের কেন্দ্রবিন্দু চাষাঢ়া হয়ে মেট্রোহল এলাকায়। তাই এখন মনে হয় যেন শহরের মেট্রোহল এলাকাটি যেন মৌমিতা পরিবহনের গাড়িগুলোর দখলে। নিজস্ব স্টার্ন্ড মনে করেই অবৈধভাবে প্রবেশ করে সড়কের মাঝখানেই পার্কিং করছে ও সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করছে। কোন কাউন্টার নেই কিন্তু আবার কয়েকটি স্থানে অবৈধভাবে কাউন্টার বানিয়ে বাস থামিয়ে যেখানে সেখানে উঠানামানো করাছে যাত্রী। অপরদিকে যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ মাত্রাতিরিক্ত করায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিয়েই শহরের চাষাড়া মোড় ও সান্তনা মার্কেটের নিচে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নেয়া হচ্ছে। রাস্তা ফাঁকা থাকলেও একই পরিবহনের অন্য গাড়ি দেখলেই রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়ি ভাবে রেখে যাত্রী উঠানো ও রাস্তায় যানজট লাগাতে দেখা যায়। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের তর্ক বির্তক ও খারাপ আচরণ লক্ষ্য করা যায়। সীট ফাঁকা ও গাড়িতে জায়গা না থাকার পরও এক প্রকার জোর করেই মহিলা যাত্রীদের উঠানো হচ্ছে। গেটের সামনে সামান্য ফাঁকা স্থানে অতিরিক্ত সীটের ফোমের মধ্যেও যাত্রী বসিয়ে নিতে দেখা যায়।