১২নং ওয়ার্ড ডনচেম্বার এলাকায় ছিঁচকে চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। গাঁজাসহ নানা নেশার টাকা জোগার করতে এমন ছোট ছোট চুরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে এক সাংবাদিক পরিবারের ঘরের জানালা দিয়ে ক্যামেরা,গিম্বল,নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। এর কিছুদিন আগে একই এলাকার একটি মুদি দোকানদারের সাইকেল ও ঘরে পালিত মুরগি চুরি হয়। এর কিছুদিন পর একজন ডাক্তারের বাসা থেকে নগদ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ন চুরি হয়েছে।এত চুরি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ক্রিকেটার কোচ সুমনের বাড়ি নির্মানের ১ টন রড চুরি করে চোরেরা।
স্থানীয় কিছু ব্যক্তিবর্গ এইসকল চোরদের শেল্টার প্রদান করে থাকেন।চুরির অপরাধে জেলখানায় যাওয়া চোরদের তারা জামিনে বের করে নিয়ে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত হলেই কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবীদের আনাগোনা বাড়ে।খানপুর ডনচেম্বার সহ আশেপাশের এলাকায় গভীর রাতে বসে গাঁজা সেবনের আসর। দারিদ্র্য পরিবারে জন্ম নেওয়া এসব লোকজন মাদকাসক্ত হওয়ায় তারা এলাকায় ছোট ছোট চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ছে।এছাড়া এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় এত দারোয়ান থাকার পরও কিভাবে এইরকম চুরির ঘটনা ঘটে তার প্রতি ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ না হলে এর পরিধি আরও বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
স্থানীয়রা অতিদ্রুত ১২নং ওয়ার্ডের চোর এবং এলাকার আশেপাশে অযথা ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদের যাতে নজরে রেখে সুষ্ঠু তদন্ত করে অতিশীঘ্রই আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।