বড় শাহজাহান ও মাসুমের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বসছে তাস দিয়ে কার্টি নামক জুয়া খেলার জমজমাট আসর। হাতের নাগালেই এসব আসর থাকায়া জুয়ার নেশায় সেখানে সর্বস্ব খুইয়া ফেলে অসহায় সংশ্লিষ্ট এলাকার বহু পরিবার। তবে মাঝে মধ্যে থানা পুলিশের তৎপরতায় কিছু জুয়ার ধরা পরলেও জুয়ার আসরগুলির নিয়ন্ত্রণকারীরা থেকে যাছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। ফলে জুয়া বন্ধের কোনো সঠিক উদ্যোগ না নেওয়ার পরিস্তিতি দিনকে দিন খারাপই হছে।
তাসের জুয়া খেলায় বিভিন্ন এলাকার কলেজ পড়ুয়া তরুণ ও যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে। এদিকে পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
প্রতিদিন দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কুখ্যাত জুয়াড়িরা এসে সমবেত হয়। তারা হাজার টাকা থেকে লক্ষলক্ষ টাকার জুয়া খেলায় মেতে উঠেন। অনেকে ওই জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ার কথা বললে জুয়াড়িরা ঘুষ দিবে বলে অফার দেয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবিদের মধ্যে জুয়া আসক্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। দিন রাত প্রতিনিয়ত জুয়া খেলার রমমরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে জুয়াড়ি শাহজাহান। এতে করে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমাজে। নষ্টের পথে পা বাড়াচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষসহ তরুন প্রজন্ম।
মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কাস ইউনিয়ন সংলগ্ন পতিত ভূমিতে বেশ ক’বছর যাবৎ বোর্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। সদর থানার স্ট্যান্ড এলাকার ওই বোর্ডে দিনরাত অবিরাম জুয়া খেলার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা হয়। তবে বর্তমানে জুয়ারী শাহজাহান জিমখানা লেক পাড় কাটের দু’তলায় জুয়ার আসর বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বিএনপি নেতা মাসুম এই জুয়ার আসরের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। জানা যায় এই জুয়ারি মাসুম প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে এই জুয়ার আসর পরিচালনা করে থাকেন।
জানা যায় জুয়ারী মাসুমের প্রশাসনের উধ্বোর্তন একজন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে নাম বিক্রি করে চালাচ্ছে জুয়ার আসর।কিন্ত সেই উধ্বোর্তন কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান।
বিএনপির এই গডফাদার বিএনপির আমলেও এই অপকর্ম করেছেন এবং বর্তমান আওয়ামীলীগের আমলেও তিনি বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।