জুয়া ছোট শব্দ হলেও মানুষকে নিঃস্ব করার অসীম ক্ষমতা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিয়ত বসছে শাহজাহানের জুয়ার আসর। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে শাহজাহানের জুয়ার রমরমা বাণিজ্য। জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। নারায়নগঞ্জের ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র।
নারায়ণগঞ্জের জিমখানা লেক পাড়ে (কাঠের দু’তলায়),ভূইঘর,কালির বাজার,১নং ঘাট,হাজীগঞ্জ এলাকায় দেখা যায় বিকেল বা রাত হলেই বিভিন্ন স্থানে বসছে শাহজাহান এবং মাসুমের লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। দেশজুড়ে ক্যাসিনো ও শুদ্ধি অভিযান চললেও থেমে নেই নারায়নগঞ্জের জুয়ার আসর। তাসের মাধ্যমে ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, হাজারী, কাটা-কাটি, বন্ড প্লাস, ডায়েস, রামিসহ নানা নামে চলছে জুয়া।নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাসা-বাড়িসহ, টং দোকান ও মুদি দোকানে চলছে এসব জুয়ার আসর।
ঘণ্টা অনুযায়ী ও জুয়া খেলার টাকার পরিমাণের উপর পারসেন্টটিস হিসাবে জুয়াড়িদের কাছ থেকে আয়োজকরা টাকা আদায় করে। আর এর বিনিময়ে জুয়া খেলার জন্য বিকাশ, নগদ টাকা ধার, বন্ধক, মোবাইল, ঘড়ি, স্বর্ণ, মাদকসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে আয়োজকরা। এতে করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে আসক্তরা আর লাভবান হচ্ছে আয়োজকরা। জানা যায়, জুয়ার বোর্ডে ২০ হাজার টাকার পণ্য ২ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ম্যানেজ পন্থা অবলম্বন করে ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে দিনের পর দিন চলছে এসব অপকর্ম। আইন অনুযায়ী জুয়া দন্ডনীয় অপরাধ।