আইনের তোয়াক্কা না করে সড়কে উঠে যাচ্ছে তিন চাকার নিষিদ্ধ যান। যাত্রী বহন করে বড় গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক। এতে করে এক দিকে যেমন আইনের ব্যতয় ঘটাচ্ছে তেমনটি দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে কয়েকগুণ।
নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ অংশে অবাধে চলছে অবৈধ তিন চাকার রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এর ফলে মহাসড়কে ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য প্রাণ।
এর আগে দুর্ঘটনা কমিয়ে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি হুইলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
সরকারি এই সিদ্ধান্তের ৭ বছর অতিবাহিত হলেও নারায়ণগঞ্জের প্রধান সড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশা নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সব ধরনের থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল করছে। অদক্ষ চালকদের চালিত এইসব তিন চাকার যানবাহনগুলো বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। ফলে প্রায়ই ঘটছে মর্মান্তিক ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা। এসব অবৈধ যান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও উলটো বাড়ছে এর সংখ্যা। অলিগলি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কে এসব রিকশা দাপটের সঙ্গে চলায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটছে।
মিশুক চালকদের দাবি ট্রাফিক পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ি ছেড়ে দেয় কিন্ত তাদের গলাকেটে টাকা আদায় করে আর টাকা দিতে না পারলেই গাড়ি রেকারে রেখে দেয় বিল দিয়ে গাড়ি নিতে বাধ্য করে।
তারা আরো জানায় ট্রাফিক পুলিশ যদি স্টিকার লাগানো গাড়ি ছেড়ে দেয় তাহলে তাদের দোষ কি তাদের গাড়ি কেন আটক করে বিল করে।