বৈধ, অবৈধ রিকশার রাজত্ব চলছে পুরো শহরে। এছাড়া শহরে প্রবেশ নিষেধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা শহরময় তাণ্ডব চালাচ্ছে। কিন্তু, এসব নিয়ে প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কোন মাথা ব্যথা নেই। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ পথচারীরা। শহরকে যানজট মুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় সরকার যখন লোডশেডিংয়ের সময় বেঁধে দিয়েছে তখনো চলছে ব্যাটারিচালিত নিবন্ধনহীন মিশুক বা রিক্সা, ইজিবাইক ও টমটম। অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের চার্জে খোদ নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশ এলাকায় চলছে অন্তত ৫ হাজার মিশুক। আছে দেড় হাজারেরও বেশি রিক্সা। এ সকল যান নারায়নগঞ্জের বিদ্যুৎ সংকট আরও প্রকট করে তুলতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, ৩ চাকার রিক্সাকে বলা হয় মিশুক বা রিক্সা। প্রতিটি রিক্সায় ১২ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারি থাকে। ৪ চাকার ইজিবাইক ও টমটমের মধ্যে থাকে ১২ ভোল্টের ৫টি ব্যাটারি। প্রতিদিন একটি রিক্সা, টমটম ও ইজিবাইককে অন্তত: ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা বৈদ্যুতিক চার্জ দিতে হয়। পুরাতন হওয়ার পর একই যানকে চার্জ দিতে হয় দিনে ২ বার। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই হিসাব অনুযায়ী কেবলমাত্র নারায়ণগঞ্জ শহর ও এর আশপাশের এলাকায় চলা এ সকল যান যে পরিমাণ বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে তাতে অনায়াসেই বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটকে আরও প্রকট করে তুলবে।
গ্যারেজগুলোতে চার্জ দেয়া হলেও এজন্যে কোন এলাকায় কত টাকা দিতে হয় তার কোনো পরিসংখ্যান কারো জানা নেই। তবে, বৈধ লাইনের আড়ালে বেশিরভাগ গ্যারেজে চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ব্যাটারি রিচার্জ করা হয়ে থাকে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। খোদ নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি এলাকায় এমন গ্যারেজ রয়েছে।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় ট্রাফিক পুলিশ সকল ধরনের গাড়ী আটক করলেও আটক করছেনা স্টিকারযুক্ত মিশুক বা অটো।
নারায়ণগঞ্জ সচেতন মহলের দাবি রেকারে যেই সকল গাড়ি আটক করা হয় সেই সকল গাড়ির রেকার বিল সরকারি খাত পর্যন্ত পৌছায় নাকি সেই জন্য রেকারে সিসিটভি স্থাপন করা হোক।
ইউসুফ নামের একজন মিশুক চালক সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান,ট্রাফিক পুলিশ আমাদের গাড়ি আটক করলেই স্টিকার লাগানো গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে আমাদের সামনেই এবং এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করলেই আমাদের গাড়ি পুলিশ লাইন পাঠিয়ে দিচ্ছে এবং দুই তিন দিন পর রেকার বিল দিয়ে সেই গাড়ি ছুটাতে হচ্ছে