সকাল নারায়ানগঞ্জঃ হকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটজন আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত৷
সোমবার ( ১৩ জানুয়ারি ) সকালে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলায় জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম , সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল , মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু , মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন , যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব , জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, যুবলীগ কর্মী নাসির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাসির এবং যুবলীগ নেতা চঞ্চল মাহমুদ। তবে জামিন পাননি মামলার প্রধান আসামি নিয়াজুল ইসলাম খান।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উচ্চ আদালত থেকে নেয়া জামিননামা জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জামিননামা দাখিল করেন।
উল্লেখ্য,ফুটপাতে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় মেয়র আইভী ও তার সমর্থকদের সাথে হকারদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় এর আগে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা জি এম এ সাত্তার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও তা মামলা হিসেবে নেয়া হয়নি। পরে ২৫ জানুয়ারি রাতে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন । পরে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন করা হয়। তাতেও কোন ফল না হওয়ায় উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করেন। উচ্চ আদালতের আদালতের বিচারক এম এনায়েতুর রহিম ও মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এর গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ ১ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ঘটনা গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আদালতে আরেকটি মামলা হয়৷ মামলার বাদী সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা জি এম এ সাত্তার উল্লেখ করেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফাহমিদা খাতুনের আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন৷মামলায় ঘটনায় নিয়াজুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।