সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন অলিগলিতে নামে-বেনামে গড়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চিকিৎসাসেবার নামে ব্যবসা করাই এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। লাভজনক হওয়ায় একক বা যৌথ মালিকানায় অনেকেই এ ব্যবসায় আগ্রহী হচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনটি বৈধ আর কোনটি অবৈধ, তা বোঝার উপায় নেই রোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলাজুড়ে অবৈধ অর্ধশতাধিক ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রের বৈধতা রয়েছে, তাদের সেবা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ ছাড়া রোগীদের বড় একটি অংশ সেবার মান সম্পর্কে অসচেতন হওয়ায় দালালদের খপ্পরে পড়ে খোয়াচ্ছেন বাড়তি অর্থ।
সম্প্রতি অনিবন্ধিত হাসপাতাল বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে প্রসূতি মা ও নবজাতককে অস্ত্রোপচার টেবিলে রেখেই পালিয়ে যান চিকিৎসক নার্সসহ অন্য কর্মীরা। সিদ্ধিরগঞ্জের পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের এমন কাণ্ডের খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নুরুল আলম নামে এক সাবেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বলেন, ‘ছোট ও মাঝারি মানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের পরিবর্তে নার্স, ওয়ার্ড বয় দ্বারা সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভুল রিপোর্ট, পুরোনো নষ্ট মেশিন কোনোমতে চালিয়ে সেবা দিতে পারলেই ভালো আয় হয়। তবে এসব ক্লিনিকে থাকা স্টাফদের চেয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি, দালালদের পেছনেও অর্থ খরচ করতে হয় মালিকদের। এ ছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদেরও বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে হাতে রাখতে হয়। এভাবেই অবৈধ বা কিছু বৈধ ডায়াগনস্টিক লাভবান হতে থাকে।’
রোগীরা বলছেন, বৈধ ও অবৈধ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তাঁদের তেমন ধারণা থাকে না। চিকিৎসাসেবা পেয়ে সুফল পেলেই সেখানে বারবার আসা-যাওয়া হয় তাঁদের। এ ছাড়া ফার্মেসির মালিক বা স্থানীয় চিকিৎসাসেবায় বিজ্ঞ এমন কারও মাধ্যমেই ডায়াগনস্টি আসা-যাওয়া হয় তাঁদের। রোগীদের দাবি, অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে প্রতারিত হবেন না তাঁরা।