সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
র্যাব-৪ এর অভিযানে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন রাজাশন এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পোশাক পরিহিত ভুয়া পুলিশসহ ০৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ও মাদকসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন একটি চক্র মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপারাধ কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দ দল উক্ত চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) গোপন সংবাদ ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে জানা যায় যে, সাভার মডেল থানাধীন পশ্চিম রাজাশন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের কিছু সদস্য ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টা হতে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গোপন মিটিং এর সময় ০১ টি পিস্তল, ০১ রাউন্ড গুলি, ০১ টি নকল পিস্তল, ০১ টি পিস্তল টাইপ লাইটার, ০১ টি কভারসহ হ্যান্ডকাফ, ০১ টি ওয়াকিটকি, ০২ সেট পুলিশ ইউনিফর্ম, পুলিশ জ্যাকেট, পুলিশ বেল্ট, ভূয়া পুলিশ আইডি কার্ড, ০২ টি রামদা, ০১ টি ডেগার, ০১ টি চাপাতি, ০২ টি ছুড়ি, ০২ টি টর্চলাইট, ০২ টি রশি, ৪৬৭ পিস ইয়াবা, ৩০ বোতল ফেন্সিডিল, ১.৫ কেজি গাঁজা, ০৭ গ্রাম হেরোইন, ০৫ লিটার চোলাই মদ, ১৯ টি মোবাইল এবং নগদ ৪৪,৫৭০/-টাকাসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূলহোতা, মাদক ব্যবসায়ী, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামী ডাকাত সর্দার শামীম রেজাসহ ০৬ জন সক্রিয় সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ শামীম রেজা (৩০), জেলা- রাজশাহী, মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৫), জেলা- ঢাকা, মোঃ পারভেজ (২৫), জেলা- পটুয়াখালি, ওয়াসিম ইসলাম (২৫), জেলা- ঢাকা, মোঃ নাইম খান (২৭), জেলা- ঢাকা ও মোঃ ফেরদৌস আহমেদ রাজু (২৯), জেলা- ঢাকা।
গ্রেফতরকৃত ০১ নং আসামী মোঃ শামীম রেজা কিশোর বয়স থেকেই অপরাধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। সে গ্রামের একটি স্থানীয় স্কুল থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে ঢাকায় আসে। একপর্যায়ে সে নিজে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং মাদক কারবারিদের সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে পর্যায়ক্রমে তার নেতৃত্বে একটি ডাকাত বাহিনী গড়ে তুলে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি রাতের আধারে পুলিশের ভুয়া ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় টর্চ লাইট দিয়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-অলংকার, মোবাইল এবং দামি জিনিসপত্র তার বাহিনীর সদস্যদেরকে নিয়ে লুটপাট করত।