সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
র্যাব-৪ এর অভিযানে রাজধানীর বাগানবাড়ী এলাকা হতে ৩৯ টন ন্যায্যমূল্যের চাল ও আটা সহ কালোবাজারী চক্রের ২ সদস্য আটক; ১টি মিনি ট্রাক জব্দ।
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) জনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশব্যাপী নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণকে ঘিরে যেন কোনো দূর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এই নির্দেশনা সত্তে¡ও করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও ন্যায্যমূল্যের খাদ্য সামগ্রী কালোবাজারীতে বিক্রি হচ্ছে। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎকারী ও কালোবাজারে বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত অনুমান ৩টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা রেশনিং দপ্তরের রেশনিং এলাকা ডি-৯ এর এরিয়া রেশনিং কর্মকর্তাসহ রাজধানীর ভাষানটেক থানাধীন বাগানবাড়ী এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ন্যায্যমূল্যের খাদ্য সামগ্রী মজুদকারী কালোবাজারী চক্রের অসাধু ব্যবসায়ী ০২ সদস্যকে গ্রেফতার করা সহ ২৪,০০০ কেজি চাল, ১৫,০০০ কেজি আটা, ০১ টি মিনি ট্রাক, ০১ টি ওজন পরিমাপক মেশিন ও ০১ টি বস্তা সেলাইয়ের মেশিনসহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মজুদকারী কালোবাজারীরা হলেন, মোঃ শরিফুল ইসলাম (২১), জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মোঃ আব্দুর রহিম (৩৬), জেলা- বরিশাল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে তারা দীর্ঘদিন যাবত কালোবাজারীতে ন্যায্য মুল্যের চাল ও আটা বিক্রয় করে আসছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, এই চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সরকার ঘোষিত ন্যায্য মুল্যের চাল ও আটা বস্তায় সংগ্রহ করে, বস্তা পরিবর্তন করে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্রান্ডের বস্তায় প্যাকেটজাত করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশিষ্ট থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ কালোবাজারি চক্রের বিরদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।