সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের ০২ সদস্য’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সা¤প্রতিককালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সা¤প্রতিক এসব প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল মেজর মোঃ কামরুল হোসেন এর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাধ এলাকা অভিযান পরিচালনা করে ব্যাংক চেকের পাতা ০৮ টি, ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার ০৩ টি, ডেবিট কার্ড ০১ টি এবং ০৩ টি মোবাইলসহ প্রতারক চক্রের ০২ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ মোহর আলী মোহন (৩৬), জেলা- ঢাকা ও মোছাঃ সোমা আক্তার (২৮), জেলা- ঢাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে ধৃত আসামী তার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে ও এই ধরনের প্রতারনার কথা স্বীকার করে ও বিভিন্ন সাধারণ ও নিরীহ লোকজনদের নিকট হতে বিপুল পরিমানের নগদ অর্থ প্রতারণামূলক ভাবে আত্মসাৎ করে আসছে।
প্রতারণার কৌশলঃ
তারা দীর্ঘ দিন ধরে পরস্পরের যোগসাজসে ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাদ এলাকায় যুব সমাজ একতা বহুমূখী সমবায় সমিতি এবং ঢাকাস্থ শরীয়তপুর শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ নামে পৃথক পৃথক দুইটি মাল্টিপারপাস সমিতি খুলে বিভিন্ন লোকজনের নিকট ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকে। ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে তারা পরিকল্পিতভাবে ঋন গ্রহিতাদের নিকট থেকে ব্যাংক চেক সহ ব্যাংক স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে দেয় এবং পরবর্তীতে ঋণের টাকা পরিশোধ করার পরেও ধৃত আসামীদ্বয় উক্ত ব্যাংক চেক ও ব্যাংক স্ট্যাম্পে নিজেদের মনমতো টাকার পরিমান লিখে উক্ত ঋণ গ্রহিতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অধিকতর অর্থ দীর্ঘদিন যাবত আদায় করে তা আত্মসাৎ করে আসছে। যে সকল ঋণ গ্রহিতা অধিকতর টাকা দিতে অস্বীকার করতো ধৃত আসামীদ্বয় তাদের নামে ভুয়া জিডি সহ বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার ভয় দেখাতো। এছাড়াও আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবত এহেন ধরণের কর্মকান্ড করে বিভিন্ন লোকের নিকট হতে বিপুল পরিমান টাকা প্রতারণা মূলকভাবে আত্মসাৎ করে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এসবের সত্যতা স্বীকার করেছে এবং এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।