সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ওরা দিনকে দিন হয়ে উঠেছে বেপোরোয়া, হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য।এদের বয়স ১৮ থেকে ২০ হলেও কিশোর গ্যাং নামে এরা হয়ে উঠেছে স্থানীয় মহলে মূর্তিমান আতংক।সহসাই এরা জন্ম দিচ্ছে চাঁদাবাজী, ছিনতাই,ইভটিজিং, মারামারি, লুটতরাজ সহ নানা অপরাধ।
দাপা বেপারি পাড়া,চন্দ্রাবাড়ী,শারজাহান রোলিং মিলস, রেল লাইন বটতলা সহ আশপাশ এলাকায় রয়েছে এদের অবাধ বিচরন।এদের বিরুদ্ধে কেহ প্রতিবাদ বা নির্যাতিত হয়ে কেই মুখ খুললে বা আইনি সাহায্য নিলে ঐ ব্যক্তিকে হতে হয় অতিতের চাইতেও আরো বেশী নির্যাতনের শিকার।
এই কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা হলো হাদী সুমনের ছেলে কুখ্যাত মোবাইল ছিনতাইকারী দূর্জয়, খোজপাড়ার সাহা মিয়ার ছেলে ছিনতাইকারী সানি ওরফে ইয়াবা বিক্রেতা সানি, ছিনতাইকারী মাদকাসক্ত কামরু সহ আরো ১৫ /২০ সদস্যের একটি দল।
এই মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাংয়ের যন্ত্রণায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঠিক মতন বেতন নিয়ে বাসায় ফিরতে পারেনা। একসাথে ছেলে-মেয়ে এমনকি ভাই-বোনও একসাথে রাস্তা দিয়ে চলতে পারেনা।এই কিশোর গ্যাংয়ের দৃস্টি গোচর হলে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মারধর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় সাথে থাকা অর্থকড়ি,মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান সামগ্রী। মাদকের টাকা জোগাড় করতে এরা অনেক নিরীহ মানুষের পকেটে মাদক দিয়ে নির্যাতন করে এবং পরবর্তীতে গ্রামের আত্নীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশ যোগে টাকা নিয়ে আসে।
জানা যায়, ফতুল্লা দাপা মাদকাসক্ত বখাটে দূর্জয়, সানী,কামরুল সহ উঠতি বয়সী বেশ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল বেশ কয়েকদিন ধরে রাত আটটার পর থেকে রেল লাইন বটতলায় এসে অবস্থান নিয়ে গার্মেন্টস ফেরৎ নারী শ্রমিকদের উক্তক্ত্য করে আসছিলো।
বখাটে কিশোর গ্যাং সদস্যদের এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং দূর্জয় বাহিনীর সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রেল লাইন শাহজাহান রোলিং মিলস্ এলাকায় ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০/১২ জনের একটি ছিনতাইকারী দল শারজাহান রোলিং মিলস এলাকায় গ্রাম পুলিশ সৈয়দ মিরাজ হোসেন কে মারধর করে নগদ টাকা মোবাইল ফোন ও একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়বাসী ধাওয়া করে হৃদয় নামক এক ছিনতাইকারী কে একটি সুইচ গিয়ারসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ সৈয়দ মিরাজের পুত্র বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলেন, এমন কোন রাত নাই যে রাতে কাউকে না আটকায় এরা। এদের বিরুদ্ধে কথা বললে এরা বেয়াদবি করে, এরা সারারাত বাহিরে থাকে এবং এদের সাথে সব সময় ধারালো অস্ত্র থাকে তাই আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনা।ভয়ংকর হয়ে এই কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেফতারে জেলা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।