সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক):
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে এক গৃহবধূ বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, “আমি আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। যে কাজটা কেউ সারা জীবনেও করতে পারতো না সেটা আপনারা এক রাতেই করে দিয়েছেন। আমার স্বামী এখন আমার আর বাবুর খোঁজ-খবর রাখে। আমার শ্বাশুড়ি কিছু দিনের মধ্যে আমাকে নিতে আসবে। স্যার, আপনাদের জন্য হয়তো কিছু করতে পারবো না কিন্তু নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবো। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক।”
উক্ত গৃহবধূ বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লিখেছিলেন, তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তানের বয়স এক বছর। সন্তান জন্ম নেয়ার কিছুদিন পর থেকে তার স্বামী অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একদিন অপরিচিত এক মেয়ের সাথে তার স্বামীকে সে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। প্রতিবাদ জানায়। সেই থেকে তার সাথে তার স্বামীর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে এবং তার সন্তানকে ফেলে রেখে চলে যায়। প্রায় এক বছর সে তার স্বামীকে নানা জায়গায় খুঁজেছে। স্বামীর আত্মীয়-স্বজনরাও তাকে সহযোগিতা করেনি। কোনো ভাবেই স্বামীকে খুঁজে পায়নি উক্ত নারী। শিশু সন্তানকে নিয়ে সীমাহীন অসহায়ত্বের মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি।
সম্প্রতি উক্ত নারী জানতে পেরেছেন, তার স্বামী রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি কোনো মামলা করতে চান না। তিনি চান তার স্বামী তাকে ও তার সন্তানকে নিয়ে সংসার করুক। উক্ত গৃহবধূর স্বামীকে খুঁজে বের করে তাকে প্রয়োজনীয় আইনি সহযোগিতা দিতে ওসি যাত্রাবাড়ি মো. মাজহারুল ইসলামকে নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। উক্ত গৃহবধূকে জানানো হয়েছে তিনি অভিযোগ করলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। কিন্তু, তিনি রাজি হননি। তার ইচ্ছা অনুযায়ী স্বামীকে খুঁজে বের করে সংসারে ফিরিয়েছে পুলিশ। সংসার রক্ষা করতে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বনের পাশাপাশি উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিংও করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিষয়াদির নাম পরিচয় প্রকাশ না করার পলিসি অনুসরন করে থাকে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।