সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক):
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় মাত্র ২হাজার ৫’শ টাকা ঋণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাসুদ (৩০) নামের যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা নয়ামাটি এলাকায় এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলের কাছ থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত মাসুদ (৩০) চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার তেলীগোমর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে সপরিবারে ফতুল্লার পাগলা নয়ামাটি এলাকায় ইব্রাহীম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাগলা বৈরাগীবাড়ি এলাকার আইয়ুব আলী ড্রাইভার (৪৮) ও তার ছেলে সোহেল (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাসুদের ছোট ভাই শাওনের কাছে ২৫শ টাকা পাবে সোহেল। এনিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় সোহেল ও তার বাবা আইয়ুব আলী ড্রাইভারসহ প্রায় ১৫/২০ জন শাওনকে পথরোধ করে। তখন কোন কথা না বলেই শাওনের গালে থাপ্পর দেয় সোহেল। এসময় দূর থেকে বিষয়টি দেখে শাওনের বড় ভাই মাসুদ এগিয়ে এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তখন সোহেল ও তার বাবাসহ তাদের বাহিনীর ১৫/২০জন মিলে মাসুদ ও তার ছোট ভাই শাওনকে এলোপাথারী মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে শাওনের সামনেই মাসুদের পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে সোহেল। এরপর সোহেল ও তার বাবা আইয়ুব আলী ড্রাইভার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন মাসুদকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মাসুদের লাশ ঢাকা মেডিকেলে ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান,যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের মধ্যে প্রধান আসামী সোহেলকে (৩৩) ছুরিসহ এবং তার বাবা আইয়ুব আলী ড্রাইভারকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তা দেখে অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।