সকাল নারায়ণগঞ্জঃ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখা
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দরা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- ১. মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করতে হবে এবং কমিশন গঠন করে কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করতে হবে।
৩. ১লা ডিসেম্বরকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ও সরকারী ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
৪. দুর্নীতিবাজ,মাদক ব্যবসায়ী, শেয়ারবাজার লুটকারী, ঋণখেলাপীরা রাষ্টের শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
৫. যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের উপজেলা ভিত্তিক তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে।
৬. যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধররা যারা সরকারী চাকুরীতে বহাল আছে তাদের বরখাস্ত করতে হবে।
৭. যুদ্ধাপরাধী,স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৮. বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষকদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট অ্যাক্ট বা জেনোসাইড ডিনাইয়াল ল’ এর আদলে আইন করে রাষ্ট্রদোহী হিসেবে বিচার করতে হবে।
৯. কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানিকতা ও গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিদেশী অনুদানে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
১০. তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বাসভবনে হামলাকরীদের চিহ্নিত করে আইনেরও আওতায় এনে দ্রুত বিচার করতে হবে।
১১. বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের এবং এসব গ্রুপ ও পেইজের এডমিন ও মডারেটরদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি বলেন, যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি, সেইসব যুুদ্ধাপরাধীদের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে ইতিহাস বিকৃত করার পাশাপাশি বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের দোসররা আবারো আমাদের স্বাধীন দেশের পতাকাকে খামচে ধরার চেষ্টা করছে। এদেরকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা আমাদের সময়ের দাবী।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে আমরা সুপারম্যান আর স্পাইডারম্যানের গল্প শোনাই কিন্তু আমাদের যে আসল সুপার হিরো আমাদের সেই মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শোনাই না। তাদের গল্প আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে শোনাতে হবে, প্রতিটি ঘরে ঘরে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প আমরা পৌঁছিয়ে দিতে চাই এবং আমরা সেই মুক্তিযোদ্ধাদের মত সুপারম্যান হতে চাই, জাতির জনকের আদর্শের নেতৃত্বে এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের অসমাপ্ত যুদ্ধে জয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষন করে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেকসিহ সভাপতি ইশতিয়াক আল কাফ্বি নিশান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নু, ওয়ার্ল্ড এন্টিট্যারোরিসম অর্গানাইজেশন (WATO) এর সভাপতি ফাহিম এমিল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম রায়হান, আহমেদ হৃদয়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ হোসেন রকি ।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ হাসনাইন।
মানববন্ধন কর্মসূচী আয়োজনে ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ রনি আলম, সাধারন সম্পাদক আল মামুন কায়সার, মহানগর শাখার সভাপতি সৈকত বাপ্পি, সাধারন সম্পাদক আরিফ হোসেন ঢালী, জেলা শাখার সহ সভাপতি ফরিদ হোসেন ফাহিম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন জামান সৌরভ, সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের হোসেন নাঈম, মহানগর শাখার সহ সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শামীম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সুমন।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ জিকু, কর্ম ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক সজিব রায় অভি, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম, সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক আশ্রারফুল ইসলাম খান সৌরভ, উপ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাদ্দাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল খান, কার্যকরী সদস্য সায়েক শহীদ রেজা, পারভেজ আহমেদ রনক, সোহাগ, প্রমুখ।