1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
শাওয়ালের ছয় রোজার গুরুত্ব - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
পুলিশ ‍সুপারের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানকে ভৎসনা করেছেন আদালত সেলিম খন্দকার খোকার মত্যুতে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক উন্নয়ন ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ জান্নাতুল বাকিতে ডা. রাশেদার দাফন সম্পন্ন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ-এর সাথে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃকর্মীদের সাক্ষাত ইসলামী আন্দোলন নগর সাংগঠনিক সম্পাদকের মায়ের ইন্তেকাল বাস ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী জেলার ডিবি পুলিশ কর্তৃক ২৪ কেজি গাঁজা ও একটি ট্রাক জব্দ-সহ গ্রেফতার: ৩ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিভাগীয় কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা সকালে নারায়ণশঞ্জ – এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা ও কেক কাটা

শাওয়ালের ছয় রোজার গুরুত্ব

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০
  • ২০৪ Time View

মহিমান্বিত রমজানের শেষে পশ্চিম আকাশে এক ফালি চাঁদ সিয়াম ও কিয়াম সাধনার অভূতপূর্ব পরিসমাপ্তি ঘটায়। উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর। কিন্তু মুমিনের হৃদয় রাজ্যে তখন দেখা দেয় ইবাদতের বসন্ত পূণ্যময় রমজান শেষ হওয়ার হাহাকার ও বেদনা।

বরকতময় রমজানে আরও বেশি ইবাদত বন্দেগি ও আত্মনিবেদন করার আকাঙ্ক্ষা তাকে পেয়ে বসে। অদৃশ্য এক যন্ত্রণায় দগ্ধ হতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে প্রভুর পক্ষ থেকে এক পশলা বৃষ্টির মতো নাজিল হয় শাওয়ালের ছয়টি রোজা।

গুরুত্ব ও ফযিলত

শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাসূল (সা.) নিজে রাখতেন এবং সাহাবিদেরকে রাখতে উদ্বুদ্ধ করতেন। এই ছয় রোজার রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব ও ফযিলত।

হাদীস শরিফে আছে, আবু আয়্যুব আনসারি (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ছয় রোজা রাখল সে যেন পুরো বছর রোজা রাখল। (সহিহ মুসলিম-১১৬৪)

এই রোজার সওয়াব আল্লাহ তায়ালা দশগুণ বৃদ্ধি করে দেন। রমজান দশ মাস সমান আর শাওয়ালের ছয় দিন দুই মাস সমান। মোট এক বছর।

এ মর্মে ইরশাদ হয়েছে, হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, রমজানের রোজা দশ মাস রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের সমকক্ষ। এই হল মোট এক বছরের রোজা। (সুনানুন নাসায়ি কুবরা:২৮৬০)

রোজার সময়

পুরো শাওয়াল মাস। ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা পর্যন্ত। শুরু শেষ বা মাঝের-যে কোনো ছয় দিন।

ধারাবাহিক হওয়া জরুরি নয়

এই ছয় রোজা ধারাবাহিক রাখা জরুরি নয়। পুরো সময়ের ভেতর ছয়টি রোজা পূর্ণ করতে পারলেই সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।তবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উত্তম। একটি বর্ণনায় ঈদের পর দিন থেকে ধারাবাহিকভাবে রাখার কথা আছে।

কবে থেকে শুরু করব

ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে রোজা রাখা শুরু করবে। এটাই উত্তম। তবে বাধ্যবাধকতা নেই।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে রাসূল সা. বলেছেন, ঈদুল ফিতরের পর ধারাবাহিকভাবে যে ব্যক্তি ছয়টি রোজা রাখল সে যেন বছরজোড়ে রোজা রাখল। (আল মুজামুল কাবির: ৭৬০৭)।

শাওয়ালের দুই তারিখ থেকেই টানা ছয় রোজা রাখা ইমাম শাফিয়ি, ইবনুল মুবারকসহ কোনো কোনো বুযর্গের পসন্দ ছিল।

ঈদের পরদিন শুরু করা জরুরি নয়

মাওলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ.) লিখেছেন, ‘সাধারণ লোকদের মধ্যে প্রসিদ্ধ আছে যে, যে ব্যক্তি শাওয়াল মাসের নফল ছয় রোজা রাখতে চায় তার জন্য ঈদের পরের দিন একটি রোজা অবশ্যই রাখা উচিত। তা না হলে ঐ ছয় রোজা হবে না। এটি একান্তই ভিত্তিহীন কথা।’ (ইসলাহি নেসাব-৭৬৯)।

রমজানের কাযা রোজা থাকলে কি করবে?

প্রথমে রমজানের কাযা রোজা আদায় করবে। কারণ তা ফরজ। আর শাওয়ালের রোজাসুন্নত। এ বিষয়ে দুর্বল সূত্রে একটি মাওকুফ হাদীস পাওয়া যায়।

“উম্মু সালামার (রা.) পরিবারের কোনো সদস্যের রমজানের রোজা কাযা হয়ে গেলে তিনি ঈদুল ফিতরের পরের দিনই তা রাখতে নির্দেশ দিতেন।” (ইবনু যানজুয়ার সূত্রে কানযুল উম্মাল-২৪৩১৮)।

ইবনু রজব হানবলি (রহ.) বলেন, আগে রমজানের কাযা রোজা আদায় করে ফেললে তার দায়িত্ব থেকে দ্রুত মুক্তি পেয়ে গেল। আর শাওয়ালের ছয় রোজার চেয়ে কাযা রোজা দ্রুত আদায় করা উত্তম। (লাতাইফুল মাআরিফ: ২২৩)।

তবে কেউ কাযা রোজা না রেখে শাওয়ালের রোজা রেখে ফেললে আদায় হয়ে যাবে।

উপকারিতা

১. ফরজ নামাজের আগে পরে যেমন সুন্নত নামাজ আছে রমজানের ফরজ রোজার জন্য শাবান ও শাওয়ালের রোজা তেমনি। হাদীসে আছে রাসূল সা. বলেছেন, “কিয়ামতের দিন ফরজ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিলে সেটা নফল নামাজ দিয়ে পূর্ণ করা হবে।”

অনেক সময় ফরজ রোজায় ত্রুটি ও অপূর্ণতা থেকে যায়। সেই ত্রুটি পূর্ণ হবে এই সব নফল রোজার দ্বারা।

২. রমজানের রোজার পর আবার শাওয়ালের রোজা রাখতে পারাটা রমজানের রোজা কবুল হওয়ার একটি আলামত। কারণ আল্লাহ তাআলা যখন কোনো বান্দার নেক কাজ কবুল করেন তখন অন্য আরও নেক কাজের তাওফিক দান করেন।

৩. রমজানের রোজার কারণে আল্লাহ পেছনের গুনাহ মাফ করে দেন। ফলে বান্দার উচিত কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আরও রোজা রাখা। (লাতাইফুল মাআরিফ-২২০-২২১)।

লেখক: আলেম ও প্রাবন্ধিক

[email protected]

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL