সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন ৭টি ইউনিয়নের ও উপজেলার নারী জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরনের জন্য ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি মুসুরি ডালের মধ্যে দুটি ইউনিয়ন বাসীর মাঝে ৩৮০০ পরিবারের মাঝে চাল ডাল বিতরন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৯ মে সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ও গোগনগর এলাকায় ১৯০০ করে মোট ৩৮০০ পরিবারের মাঝে বিতরনের জন্য ৭৬ হাজার কেজি চাল ও ৭ হাজার ৬০০ কেজি ডাল বিতরন করা হয়েছে।
উক্ত ইউনিয়ন দুটির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৬জন নারী সদস্যরা উক্ত চাল এবং ডাল অসহায় পরিবার গুলোর মাঝে বিতরন করবেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য ২০ কেজি চাল ও ২ কেজি করে মুসুরি ডাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ মে সকালে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে ৭টি ইউনিয়নের নারী জনপ্রতিধিদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের কাছে ৩ লাখ কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল হস্তান্তর করা হয়েছে।
যার মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩জন করে নারী সদস্যরা ১৯০০ পরিবারের করে কোন মোট ১৩৩০০ পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দিবেন, আর বন্দর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৭০০ পরিবার এবং বন্দর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শুক্ল সরকারের মাধ্যমে আরো ১ হাজার পরিবারের সহ মোট ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে এ সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য এ নিয়ে ৪ দফায় মোট ৩৩ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ৫ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল বিতরন করলেন এমপি সেলিম ওসমান ও তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। যার মধ্যে এমপি সেলিম ওসমান তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ ও ৩১ মার্চ প্রথম ধাপে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সদর ও বন্দরের ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল করেছেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ এপ্রিল প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষ্যে বন্দর এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২৫০০ পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে ৫০ হাজার কেজি চাল বিতরন করেছেন। তৃতীয় দফা ২৭০০ পরিবারের মাঝে ৫৪ হাজার কেজি চাল সহ সর্বমোট ২ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চাল বিতরন করা হলো।
এছাড়াও চলতি রমজান মাসে করোনা সংকট মোকাবেলায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যার জন্য প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৮ লাখ টাকায় প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ২০জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী মোট ৬০০জনকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যাদের প্রত্যেককে ৪৫০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হবে।
ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মাধম্যে ১৬ হাজার পরিবারের মাঝে ৯০০ টাকা করে ৪৪ লাখ টাকা পৌছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হাতে ২০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। এর বাইরে নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৯লাখ টাকা ব্যয় এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহিবল থেকে বহন করা হচ্ছে। যা আগামী জুন মাস পর্যন্ত বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।