সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
সোনারগাঁয়ে আম পারাকে কেন্দ্র করে ভাতিজা মিরাজের (২০) উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে চাচা জমির আলী (৪২) ও দাদা জোহর আলী (৬২)।
শুক্রবার উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুধঘাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।এ সময় আহত মিরাজের মা ও তার মামা এস এম রাজু আহম্মেদ রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত মিরাজকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তার মা হলেন আজ দুপুরে মিরাজ (২০) পত্রিক সম্পত্তিতে আমার ছেলে আম গাছ হইতে আম পারা কে কেন্দ্র করে তার আপন চাচা জমির আলী (৪২) ও দাদা জোহর আলী (৬২) গং সন্ত্রাসী কায়দায় বেদম মারপিট করে আমার ছেলেকে রক্তাক্ত জখম করে।
মিরাজের মা আরো বলেন, মিরাজের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলেও ভয়ংকর জমির আলী ও জহোর আলীর সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে অন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। মিরাজের চিৎকারে আমি আমার ছেলেকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করলে কিছু লোকের সহযোগিতায় মিরাজকে রক্তাক্ত জখম এবং মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করি।
সন্ত্রাসীরা এতই শক্তিশালী যে তাদের ভয়ে কেউ আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। আমি এবং আমার সাংবাদিক ভাই এস.এম রাজু আহম্মেদ ভয়ভিতি উপেক্ষা করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার নিয়ে যাই। মুমূর্ষ এবং রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মিরাজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করতে চাইলে আমার কান্নার কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তারগন তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
আহত মিরাজকে চিকিৎসা দেওয়ার পরে তার মামা সাংবাদিক এস এম রাজু আহমেদ সোনারগাঁ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক এস এম রাজু আহমেদকেও প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান সাংবাদিক এস এম রাজু আহমেদ। স্থানীয় মেম্বার মজিবুর রহমানের ছেলে মেঝু সাংবাদিক রাজু আহত মিরাজকে প্রকাশ্যে হুমকি-ধামকি দিয়ে যায়, যাতে থানা-পুলিশ বা মামলা না করা হয়, আর মামলা করলে জীবনে একেবারে শেষ করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলবো।
মিরাজের মামা সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি, ঢাকা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস, দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার অপরাধ বিষয়ক ক্রাইম রিপোর্টার এস.এম মোঃ রাজু আহম্মেদ সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদের অনেক সদস্যকে তার নিজ পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামে মজিবর মেম্বারের ছেলে মেজু ভুইয়ার নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া রাজুর নিজ বাড়ীতে অবস্থান করে।
রাজু আহম্মেদ নিজে এবং তার পরিবারের আত্ন-রক্ষার জন্য নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে জরুরী ভিত্তিতে সোনারগাঁ থানায় এবং সোনারগাঁ সাংবাদির পরিষদের সদস্যদের জনাব মো: হাবিব মাষ্টার , মফিজুল রহমান সোহেল , মাওলানা মো: দেলোয়ার, মো: মোক্তার হোসেন এবং এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া কে উদ্ধারের জন্য বলিলে তারা সবাই সোনারগাঁ থানা পুলিশের এস.আই মো: হাসিব হোসনের সহায়তায় এস.এম রাজু আহম্মেদ কে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানায় যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, থানায় কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা করতে আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লখ্য যে, ইতি পূর্বেও সন্ত্রাসী গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত জহোর আলীর বিরুদ্ধে বহু অপকর্মের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।মুচলেকা দিয়ে থানার মামলা থেকে অব্যাহতির এমন প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় আহত মিরাজের পরিবার।