সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
সদর উপজেলার ফতুল্লায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কাশীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড় আমবাগান (সুচিন্তানগর) এলাকার আবু সাইদ মাতবর (৫৫) মারা যাওয়ায় ওই এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছে৷
শনিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, সহকারী কমিশনার (ভুমি) হাসান বিন মোহাম্মদ আলী ও জেলা করোনা ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম মৃতের ব্যাক্তির বাড়িতে পৌছে এই লকডাউনের নির্দেশ দেন।
এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে শনিবার ৪ এপ্রিল সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়৷
নিহতের ছেলে মেহেদী হাসান রবিন জানান, গত দুই দিন যাবৎ আব্বুর শ্বাসকষ্ট ও কাশি ছিল৷ ঢাকার প্রথমে তাকে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ পরে সেখান থেকে কুর্মিটোলি নিয়ে যাবার কথা বলা হলে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করি আমরা৷ শনিবার সকাল ৯টায় বাবা মারা যান৷ পরে আইইডিসিআর থেকে লোকজন এসে পরীক্ষা করে করোনার কথা জানায়৷
তার বাবার ডেথ সার্টিফিকেটে করোনায় মৃত্যু কথা উল্লেখ রয়েছে৷ লাশ আইইডিসিআরের লোকজনের তত্ত্বাবধানে ঢাকার খিলগাওয়ে দাফন করা হয়৷
তবে তাদের পরিবারের কেউ বিদেশ ফেরত কিংবা প্রবাসী নয় বলে জানিয়েছেন তিনি৷
এ বিষয়ে জেলা করোনা ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, করোনায় আক্রান্তে ওই লোক অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে ছিলেন, এলাকায় ঘুরাঘুরি করেছেন, মসজিদে গিয়েছেন তাই এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক জানান, গত ১ মার্চ থেকে অসুস্থ হয়ে তিনি তার বাড়িতেই ছিলেন। পরে এখান থেকেই তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু গয়৷ পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি আবু সাইদ হোসিয়ারি ব্যবসা করতেন এবং নিয়মিত নামাজ পড়তেন। তিনি ও তার কোন আত্মীয় স্বজন বিদেশে থাকেন না। যেকোন স্থান থেকে সংস্পর্শে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আবু সাইদ। স্থানীয় কাশিপুর ইউনিয়ন এলাকার উত্তরে মাদ্রাসার শেষ মাথায় হেদায়েত উল্লাহ খোকনের বাড়ি থেকে দক্ষিণে পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজার ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত এবং পূর্বে হাসেনবাগ লেন মোড় থেকে পশ্চিমে প্রধান বাড়ির সড়ক পর্যন্ত লকডাউন করা হয়েছে।