সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে। আর সেই অনুষ্ঠানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অতিথি হিসেবে রাখছেন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বলতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যদি আপনার পিতার জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে করতে চান তাহলে মোদীর পক্ষ থেকে ভারতের মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। নতুবা আমরা ছোট করে আওয়াজ দিয়ে বলছি সারা বাংলাদেশে আগুন জলবে। আপনার পিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করতে পারবেন না। আমাদেরকে ছোট করে দেখবেন না।
শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে শহরের ডিআইটি মসজিদের সামনে ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়াল একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আবদুল আউয়াল বলেন, আপনার সুন্দর অনুষ্ঠানকে সুন্দর ভাবে বাস্তবায় করতে হলে আপনি মোদীর পক্ষ হতে ভারতের মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মোদিকে এদেশে আনলে রাজপথে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।
আল্লামা আহমদ শফিকে নিয়ে আমরা রাজপথে নামবো। প্রয়োজেন মোদির বিমানকে রাজপথে আটকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান থেকে শুরু করে এই দেশে যত সংখ্যালঘু আছে তারা আমাদের কাছে আমানত। আমাদের নবীর শিক্ষা সংখ্যালঘুদের উপর যেন কোন দিন আক্রমন না হয়। এই সংখ্যালঘু লোকেরা তাদের মন্দিরে তারা নিজেরা হামলা করে আমাদের ঘায়েল করার জন্য মামলা করবে। আর এজন্য মুসলমান ভাইয়েরা সচ্চার থাকবেন। তারা যেন তাদের গায়ে আগুন ঢেলে আমাদের ফাসাতে না পারে। তিনি বলেন, ভারতের মধ্যে যারা মুসলিম তারা সংখ্যা লুগু। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, এক প্রতিবেশি থেকে যদি আরেক প্রতিবেশির থেকে নিরাপদ না হয় সে দুনিয়া এবং আখিরাতে বর্বাত। আমরা ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্র।
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের জুলুম করবা আমরাতো সহ্য করবো না এবং আমার আল্লাহও সহ্য করবে না। ভারতকে টুকরা টুকরা করে আল্লাহ ধ্বংস করে দিবে। তাদের দেশে মসজিদে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। নামাজরত অবস্থায় ইমাকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে । মুসলমান ভাইদের জান মালের নিরাপত্তা নেই। আমরা বাংলাদেশি মুসলিমরা চুপচাপ আঙুল মুখে দিয়ে বসে থাকবো, আর মোদি সরকার আইসা এখানে রঙের গাইন গাইবা তা কোন দিন হবে না। আমাদের উপর হুলিয়া জারি করার জন্য তারা তাদের মন্দিরে হামলা করবে। তাই আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। মুসলমানরা উগ্রপন্থি নয়। আমরা শান্তি প্রিয়। ভারতের ঘটনাকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন এটা তাদের অভ্যন্তরীন বিষয়।
তাদের বিষয়ে আমাদের নাক গলানো উচিৎ না। বাংলাদেশের মানুষ যখন মোদিকে আটকিয়ে দিবে তখন এটাকে নিজেদের অভ্যনতরীন বিষয় বলে ক্ষান্ত থাকবেন। অন্য কোন কথা বলতে পারবেন না। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ হতে কোন প্রতিবাদ জানানো না হয় আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ওলামা পরিষদের সহ সভাপতি মাওলানা আবদুল কাদির, হারুন অর রশিদ, ইসমাইল আব্বাসি, সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল সিরাজী, মুফতি দেলোয়ার হোসেন,মাওলানা মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।