সকাল নারায়ণগঞ্জ :
হেফাজতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআান বিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও সকল গণহত্যার বিচার ফিলিস্তিন এবং ভারতে মুসলিম গণহত্যা নীপিড়ন বন্ধের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ঢাকার জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গণ জমায়েতে অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণ জমায়েতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মমিনুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, কিছুদিন আগে ড. ইউনুস আমাদের সাথে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আজকে তাকে পুলিশ বেষ্টনিতে পাহারা দেয়া হয়। আমরাই আপনাকে এখানে পৌঁছে দিয়েছি। আপনাকে সেখানে পৌঁছে দিতে ২হাজার ছাত্র জনতা জীবন দিয়েছে। লড়াই মাঠে ময়দানে আমরা করেছি। পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই এমন ফু আমরা জানি ৩ তারিখে পর আপনাকে ইদুর বানিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। ৩ তারিখ পর্যন্ত সময় আপনি কি করবেন করে ফেলেন। আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আমরা আপনার দিকে হয়ে ফু দিলে আপনি টিকবেন না। সুতরাং বাংলাদেশে কোরআনের বিরোধীতা করে তসলিমা নাসরিন টিকতে পারে নাই। আজকের কমিশনও টিকতে পারবে না। একটা একটা করে মাটির নিচ থেকে ধরে এনে তাদের চামড়া তুলে ফেলা হবে। শেষ কথা আপনাদের থেকে জানতে চাই তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মানিক মিয়া এভিনিউতে ২৫০ বাস নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ যোগ দিয়েছে। আপনারা সেই নজির আবারো সৃষ্টি করতে তৈরি আছেন কিনা?
হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আব্দুল আউয়ালের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আশা করি সব মতভেদ ভুলে ৩মে বিশাল বহর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এখন ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ হয়েছে। যা আগে কখনো সুযোগ হয়নি। আমরা সংস্কার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছি। ৬টি সংস্কার কমিশনের ৫টিকেই সাধুবাদ জানিয়েছি। কিন্তর নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা দেখে আমরা স্তম্ভিত হয়েছি। আমাদের বক্তব্য আমরা লিখিতভাবে উপস্থাপন করেছি। কমিশন বলেছেন ধর্মীয় ও সামাজিক নিয়ম নারীর প্রতি সব থেকে বৈষম্যের কারণ। এটা বলে তারা ইসলামী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। ড.ইউনুস সাহেব এটা ভেরিফাইড আইডি থেকে এটা দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। অর্থাৎ ড. ইউনুস ইসলামী উত্তরাধিকারী আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, কোরআনের আইন, ইসলামী আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। ড. ইউনুসকে আমরা অনেক সম্মান দিয়েছি এমতাবস্থায় আমরা ড. ইউনুসের সাথে হাসিনার চাইতে ভিন্ন কোন আচরণ করতে পারিনা। আগামী ৩ মে সমাবেশ থেকে আমরা সেটা প্রমাণ করবো। এর আগেই নারী কমিশনের বাতিল চাই, সেই সাথে নারী কমিশনের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।