সকাল নারায়ণগঞ্জ :
কারামুক্ত হয়েছেন হত্যাসহ ৩৩ মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সোয়া ১০টার দিকে জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল ৭টা থেকে কারাফটকের সামনে ফুলের মালা ও গাড়িবহর নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন তার অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা। কারামুক্ত হয়ে জাকির খান তাদের নিয়ে শহরে শোডাউন করেন।
দীর্ঘ বছর পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর এক অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জাকির খান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক আইনে ৩৩টি মামলা ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন ও খালাস পান জাকির খান।
সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ২২ বছর পর নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার রায়ে জাকিরসহ সকল আসামিকে খালাস দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম।
মামলায় খালাস পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ।
২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির অদূরে সাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিট পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি সাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই।
সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, “৩১টি মামলায় জাকির খান খালাস পেয়েছেন। দুটি চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা এখনও তার বিরুদ্ধে চলমান থাকলেও তিনি ওই দুই মামলাতেও জামিনে রয়েছেন। মামলার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।”