ফতুল্লার মানুষের মন অনেক বড়। আমি ঢাকা চেনার আগ থেকে ফতুল্লা চিনি, অনেক নাম শুনেছি ফতুল্লার।
আমি এই বিদ্যালয়ের চাওয়া পাওয়ার সাথে একমত। আমি চাই আগামী ২/১ মাসের ভেতর এই স্কুলকে কলেজে রূপান্তরিত করে দিতে পারি। কারণ এই অংশে কোনো কলেজ নাই, সবাইকে অনত্র্য পড়াশোনার জন্য যেতে হয় এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন খপ্পরে পরতে হয়। এই অঞ্চলে যারা পড়াশোনা করে তাদের আর্থিক অবস্থাও অতো ভালো নয় কিন্তু বড় বড় মানুষ আছে এইখানে।
শনিবার(২২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিন একথা বলে।
তিনি বলেন, আমরা কলেজ করে দিবো, কিন্তু এই কলেজটাকে ধরে রাখতে হবে। আজকে এখানে এসে খুব ভালো লেগেছে। এরপর কোনো বড় প্রোগ্রাম হলে শহরের মধ্যে না দিয়ে এইখানে দিবো। আপনারা ধন্যবাদ জানান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিকে। গেট খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হবে আর সেই গেট উদ্বোধন করবেন আমাদের মাননীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমান সাহেব। যার রক্তে একেএম শামসুজ্জোহা সাহেবের রক্ত লোহিত আছে। একেএম শামসুজ্জোহা যদি নারায়ণগঞ্জে না হতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এতবার আসতেন না।
বক্তব্য শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন তিনি।
এসময় অনুষ্ঠানে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা মো. আমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামিউল্লাহ মিলন, সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, দৈনিক শীতলক্ষা সম্পাদক আরিফ আলম দিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চ্যায়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন জুয়েল প্রমূখ।