সকাল নারায়ণগঞ্জ :
২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাস, সকল বকেয়া ও মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ এবং ছাঁটাই-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা বন্ধের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উদ্যোগে আজ বিকাল ৫ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন ও এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগের জেলার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সংগঠক হাসান মাহমুদ, নির্মল বর্মন, তৌহিদুল ইসলাম সুজন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে ঈদ নিয়ে শ্রমিকের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ ঈদ আসলেই কেবল ভাবতে পারে পরিবার পরিজনের জন্য কিছু ভাল খাবার ও কিছু জামা কাপড় কেনার। এমনিতেই শ্রমিকের মজুরি কম। তাই গার্মেন্টসে শ্রমিকরা ঈদের আগে অতিরিক্ত কাজ করে তাদের আয় বাড়ানোর জন্য। কিন্তু মালিকরা ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে কারখানাগুলোতে সংকট তৈরি করে। কিছু গার্মেন্টসে হাফ বোনাস দিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোনাস না দিয়ে ৫০০/১০০০ টাকা বকশিশ দেয়। অনেকে তাও দেয় না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেসিকের সমান বোনাস দেয়া হয়। অথচ যাদের উৎপাদনের কারণে দেশে বৈদেশিক মূদ্রা আসে তাদের ঠিকমতো বোনাস দেয়া হয় না। শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পূর্ণ বোনাস দিতে হবে। ঈদের আগে শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন পাওয়া ন্যায্য। শ্রমিকদের বেতন বোনাস ঈদের শেষ মুহুর্তে দিলে শ্রমিক বাড়ি যাওয়ার তাড়ায় ভালো করে কেনাকাটা করতে পারে না।
ঈদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে অর্থাৎ ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকের পূর্ণ বোনাস, সকল বকেয়া ও মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। বেতন বোনাস নিয়ে মালিকদের গড়িমসির কারণে শিল্প এলাকায় যদি শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তার জন্য মালিক ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।