সকাল নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে যানজট নিরসনে শহরে লাইসেন্সবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক প্রবেশে কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে, শহরে প্রবেশের সুযোগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে ইজিবাইক চালকরা।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকাল ৪টায় ইজিবাইক চালকরা এ দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড অবরোধ করে রাখেন। এতে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বিকাল ৪টার দিকে চাঁদমারি আর্মি মার্কেটের সামনে চালকরা সড়ক অবরোধ করেন এবং শহরে প্রবেশের অনুমতি চাইতে শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাদের সরিয়ে দেয়।
ইজিবাইক চালক মজু মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি চাষাড়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হোক। আমরা সামান্য আয় করে পরিবার চালাতে চাই। মিশুক-সিএনজি যদি শহরে প্রবেশ করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না?”
আরেক চালক মো. জুয়েল বলেন, “রমজানের সময় দুইটা যাত্রী পাওয়ার জন্য আমরা চাষাড়া যেতে চাই। যেখানে পুলিশ আমাদের আটকে দিচ্ছে, সেখানে তেমন যাত্রী পাওয়া যায় না। আমরা চাই অন্তত চাষাড়ার কাছে পাম্পের কাছ থেকে ঘুরে যেতে দিক।”
ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, “মানুষ এখন গাড়ি পেতে চায়, হাঁটতে চায় না। আমরা চাষাড়া মোড়ে যেতে পারলে যাত্রী পেতাম, কিন্তু সেটি করতে না পারায় আমাদের গাড়িতে কেউ উঠতে চায় না।”
এদিকে, সড়ক অবরোধের কারণে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে পড়েন সাধারণ মানুষ। পাগলা থেকে আসা উচ্চরক্তচাপের রোগী আলেয়া বেগম যানজটে আটকে পড়ে দুর্ভোগে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা কন্যা জানান, “মা সকালে একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, কিন্তু যানজটের কারণে দেরি হচ্ছে।”
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহাদাত বলেন, “আমরা ইজিবাইক চালকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি, যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।” তিনি আরও জানান, “চাষাড়ায় ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। পরে আমরা তাদের অনুরোধ করে বলি, এখন ইফতারের সময় আপনারা সড়ক অবরোধ করে রাখলে রোজাদারদের জন্য ভোগান্তির সৃষ্টি হবে। পরে তারা আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সড়ক ছেড়ে দিতে রাজি হন এবং সড়কটি উন্মুক্ত করে দেন।