সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ইসলামী হুকুমত কায়েম হলে গরিব-ধনী বৈষম্য দূর হবে। গরিবদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। অসহায়দের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।
আজ ১ লা নভেম্বর শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১১ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি তোফায়েল আহম্মদের সভাপতিত্বে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন। গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মুহা. বিলাল হোসাইন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শহর শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আ: সোবহান, সেক্রেটারি আ. রহমান রোমান, ইসলামী যুব আন্দোলন শহর শাখার সহ-সভাপতি আরিফুল্লাহ জাদরান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন শহর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম হোসেন, তল্লা বড় জামে মসজিদের খতিব ও ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ না.গঞ্জ মহানগর উলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ওমর ফারুক, নূরে মদিনা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুল হাসান সহ ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম, দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিগত দিনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন, আছে এবং থাকবে। জুলাই-আগস্টের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং সকল সহযোগী সংগঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এতে সংগঠনের প্রায় ২৫ জন করী শাহাদাত বরণ করেছে এবং প্রায় ৭ শতাধিক কর্মী আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন আছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট, দুর্নীতিবাজ ও গণহত্যায় জড়িতদের নির্বাচনে অযোগ্য যোষণা এবং সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
প্রধান বক্তা বলেন, আগামীতে সংখ্যানুপাতিক ভোটের হারে নির্বাচন চাই। যেখানে মার্কায় ভোট দিবে, বাক্তিকে নয়। তাহলে কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। পেশিশক্তি বন্ধ হবে, কালো টাকার ছড়াছড়ি থাকবে না। যে মার্কা যত শতাংশ ভোট পাবে, সেই দল সে পরিমাণ সদস্য সংসদে পাঠাবে। পৃথিবীর ১৭১ টি বাষ্ট্রের মধ্যে ৯১ টি রাষ্ট্রে PR সিস্টেম বা সংখ্যানুপাতিকহারে নির্বাচন প্রচলিত রয়েছে।
চুরি-ডাকাতি ও দখলদারের বিরুদ্ধে আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আবারও গুণ্ডামি, চাঁদাবাজি, আত্যাচার, মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু হয়েছে। এসব দেখার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন করে নাই, রক্ত দেয় নাই।