1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১৮ দফা সুপারিশ উপস্থাপন - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বিশ্ব নগর দিবস ২০২৪ নগর উন্নয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ জরুরি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রবীণ নেত্রী আমিনা বেগমের মৃত্যুতে জেলা কমিটির গভীর শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা নিবেদন দীন বিজয়ের আন্দোলনে ব্যবসায়ী ও সুধীদের ভুমিকা অনস্বীকার্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে কার্যকারী উদ্যোগ নিতে হবে এন‌সি‌সিআইয়ের ৩৬ ও ৩৭ তম বার্ষিক সাধারন সভা অনু‌ষ্ঠিত ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী র‌্যালি অনুষ্ঠিত স/ন্ত্রা/স চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই -গণসমাবেশে মুহা. সুলতান মাহমুদ ইসলামী যুব আন্দোলনের উদ্যোগে সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করিম (র) এর রাজনৈতিক দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আইভী ও ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী হকার নেতা আসাদ আটক সন্ত্রাস কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১৮ দফা সুপারিশ উপস্থাপন

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

অপরিকল্পিত নগর পরিবহন ব্যবস্থার কারণে ঢাকা শহর পরিণত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম যানজট প্রবণ নগরে। ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২৩০-২৫০ মিলিয়নে পৌঁছাবে এবং এ জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি বড় অংশ ঘটবে শহরাঞ্চলে। এখনই যানজট হ্রাসে উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। আমাদের প্রত্যাশা গণপরিবহন তথা বাস, রেল ও নৌপথে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে একটি বহুমাধ্যমভিত্তিক সমন্বিত ও জনবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

আজ ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট কর্তৃক জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে আয়োজিত ‘যানজটের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। আয়োজনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের কর্মসূচি প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং ট্রাফিক সিগনাল সিস্টেম গবেষক ও ট্রাফিক্সের সিইও আশরাফুল আলম রতন। আয়োজনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান, আইনজীবি ও নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের টেকনিক্যাল এডভাইজার আমিনুল ইসলাম সুজন, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ এর নির্বাহী সদস্য মারুফ হোসেন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দাবিতে একটি অবস্থান কর্মসূচি আয়োজিত হয়।

সাইফুদ্দিন আহমেদ তার প্রবন্ধে বলেন, ২০০৭ সালে ঢাকায় গাড়ির গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিঃমিঃ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। ঢাকায় যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা। অর্থমূল্যে যা দৈনিক প্রায় ১৩৯ কোটি এবং বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক। যানজটের এই সমস্যার জন্য শৃঙ্খলা না মেনে গাড়ি চালানো, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কে মেগা প্রকল্পগুলোর কালক্ষেপণ, ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর পরিকল্পনা, দূর্বল ট্রাফিক সিগন্যাল ও মনিটরিং ব্যবস্থা, যানবাহন নিবন্ধনে অব্যবস্থাপনা, সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক পদ্ধতির অভাবসহ বেশ কিছু কারণ দায়ী। এ বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধান করা গেলে সড়কে ফিরতে পারে গতি ও শৃঙ্খলা।

আশরাফুল আলম রতন তার প্রবন্ধে বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক সিস্টেম অকার্যকর হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তার মধ্যে হাত-লাঠি নির্ভর সিগনাল সিস্টেম, সিগনালে যানবাহনের পারাপারের মধ্যে বিশৃঙ্খলা, যানজট সৃষ্টি হতে পারে এমন স্থানে গাড়ি পার্কিং করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আইনের প্রতি সম্মান ও বাধ্য না থাকা, চালকের নিয়মিত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক না করা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আমরা স্বনির্বাচনযোগ্য সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা  Customizable Integrated Traffic Management System (CITMS) প্রস্তাব করছি। এর মাধ্যমে সারা বছর ২৪ ঘন্টা সিগন্যাল অপারেশন চলমান রাখা, গাড়ির গড় গতি ২৫-৩০ কি.মি. তে ফিরিয়ে আনা, আইন ভঙ্গকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা, পথচারীদের যাতায়াতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, আন্তঃবিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন, দূষণকারী বাহন চিহ্নিত করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন সম্ভব হবে।

আয়োজনে বক্তারা বলেন, গণপরিবহনের সিটি সার্ভিস এবং অন্যান্য সার্ভিস এর জন্য পৃথক নীতিমালা, সহায়ক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। প্রকল্প ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজ করার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যানজট হ্রাসে সফলতা আসেনি। ট্রাফিকদের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘস্থায়ী উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন, যেন তারা অন্তত পাঁচ বছর একাধারে কাজ করতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প খরচে ট্রাফিক সিস্টেমের সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। সড়ক পরিবহন আইনটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এই আইনের সংশোধনে কাজ করা প্রয়োজন। সেই সাথে শহরের পরিবহন পরিকল্পনায় নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সমাধানে ফিটনেসহীন বাস অপসারণ, গণপরিবহনের মান উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য পৃথক বাস প্রচলন, রাস্তায় একদিন জোড় এবং একদিন বেজোড় সংখ্যার ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিটিসিএ-এর মাধ্যমে সমন্বিত মনিটরিং কমিটি/টাস্কফোর্স কমিটি গঠন এবং নিয়মিত মনিটরিং করা, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, নগর পরিবহনের জন্য পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, সড়কে যত্রতত্র যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ করা, সায়েদাবাদ, গাবতলী এবং মহাখালী আন্তটার্মিনাল সংযোগ তৈরি, নগরীর ট্রাফিক রুট পুনঃবিন্যাস, সড়ক ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্বারোপ, প্রধান সড়ক থেকে ব্যাটারী চালিত রিক্সা প্রত্যাহার, যানজট নিরসনে স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বিআরটিসিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তর করে একক কোম্পানীর মাধ্যমে নগরীর বাস পরিসেবা চালু করাসহ ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL