সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সাতানিখিলে বালু ভরাটের পানির তোড়ে ধসে গেছে সড়ক।
মুন্সীগঞ্জ-মাকহাটির গুরুত্বপূর্ণ এই পিচঢালা সরকারি সড়ক ধসে জনদুর্ভোগ চরমে। অতি ঝুঁকিতে চলছে মিশুক, অটোরিকশা, ভ্যান ও মটর সাইকেলসহ ছোট আকারের যানবাহন।
সড়কটিতে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বড় যান চলাচল। এতে স্থানীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
স্থানীয়রা নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান দেওয়ানের নেতৃত্বে স্থানীয় উজ্জ্বল হালদার, কবির হালদার, মিরাজ হালদার ও জুয়েল দেওয়ান এই বালু ভরাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। রাস্তা ঘেঁষা খালি জায়গায় বালু ভরাটে পানির স্রোতের কারণে রাস্তার এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এতে ওই স্থান থেকে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে প্রায় ১০০ ফুট সড়ক।
এভাবে কয়েকদিন চলতে থাকলে এবং রাস্তার এক পাশের খালের পানি আরও কমলে সম্পূর্ণ রাস্তা ধ্বসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মত স্থানীয়দের। তাই যেকোন মূল্যে সড়কটিকে চলাচলের উপযোগি করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় বাসীন্দা জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে পুরোপুরি বিলীন হবে এই খালের মধ্যে। দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
পথচারী পারুল বেগম, মো. আল আমিন খান, বুলবুল শিকদারসহ কয়েক জন বলেন, বারবার নিষেধ করা হলেও বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা কোনো তোয়াক্কা করেনি। এভাবে চলতে থাকলে আরও বড় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও এসময় জানান তারা।
হেলেনা পারভীন নামের আরেক পথচারী বলেন, রাস্তাটি ধসের ফলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে। যাদের বালু ভরাটের ফলে সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান দেওয়ান জানান, এই ধরণের কোন ঘটনার আমি জড়িত নই। আমাকে একটি পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এগুলো রটাচ্ছে।
আমার কোন লোকজনও এর সাথে জড়িত নয়।
মুন্সীগঞ্জ উপজেলাের নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী করা হবে।