সকাল নারায়ানগঞ্জঃ
শুভ জন্মদিন নারায়ণগঞ্জ। নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে ১৯৮৪ সালের আজকের এই দিনে(১৫ ফেব্রুয়ারি)রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে নিকটবর্তী প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যত এই নারায়ণগঞ্জ জেলার।
প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নামে কোন নগরীর অস্তিত্ব না থাকলেও পরবর্তীতে পলাশী যুদ্ধে ইংরেজদের সাহায্যকারী ব্যাক্তিবর্গদের ইংরেজ সরকার পুরস্কৃত করে। এ সুবাদে ১৭৬৬ সালে (বাংলা ১১৭৩) ভীখন লাল ঠাকুর ওরফে লক্ষী নারায়ণ ঠাকুর কোম্পানির নবাব মোজাফফর জঙ্গের কাছ থেকে দলিলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের ভোগস্বত্ব লাভ করেন। পরে প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি ঘোষণা করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে যার নাম হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ।
১টি সিটি কর্পোরেশন, ৫টি উপজেলা, ৭ টি থানা নিয়ে গঠিত নারায়নগঞ্জ জেলা। পাট শিল্পের জন্য বিখ্যাত এ নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ডান্ডি নামেই পরিচিত। এছাড়াও শত বছরের পুরোনো, দেশের প্রধান নদীবন্দর এখানে অবস্থিত।
ঐতিহাসিক চিত্তাকর্ষক স্থানের নাম নারায়ণগঞ্জ। ইতিহাসের প্রতিটা পাতায় পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জ। এখানে আছে লোকশিল্প জাদুঘর, পানাম নগর, সোনারগাঁও, সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি, সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ, বাবা সালেহ মসজিদ, বন্দর শাহী মসজিদ, কদমরসুল দরগাহ, গোয়ালদি মসজিদ, সোনাকান্দা দূর্গ, হাজীগঞ্জ দূর্গ, বিবি মরিয়মের সমাধি, আদমজী জুট মিল, জাতীয় ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম (৩য়), ফতুল্লা।
বহু কৃতি ব্যাক্তির জন্মস্থান এই নারায়ণগঞ্জ। এখানে জন্মেছেন বহু মুক্তিযোদ্ধা- কমান্ডার এম এ গনি, মোহাম্মদ আলী, মোঃ সামসুল হক, মহিউদ্দিন রতন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মমিনুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও আরও আছে ৪র্থ বাংলাদেশী গ্রান্ড মাস্টার খেতাবধারী আব্দুল্লাহ আল রাকিব, কবি ও লেখক বেনজির আহমেদ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সাবেক সেনা প্রদান ও এমপি জেনারেল শফিউল্লাহ, সাবেক সরাষ্ট্রমন্ত্রী আঃ মতিন চৌধুরী, একেএম সামসুজ্জোহা, আলী আহমেদ চুনকাসহ আরও অনেকে।
এক কথায়, গৌরবময় ইতিহাসের এক ভান্ডার নারায়ণগঞ্জ।