সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ পূর্ণ ঈদ বোনাস পরিশোধ, সকল গার্মেন্টসে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য বিবেচনায় শ্রমিকদের মহার্ঘ ভাতা প্রদান, রেশন ব্যবস্থা চালু করা ও ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৩ টায় বিসিক ২ নং রোডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট বিসিক শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি নূর হোসেন সর্দারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, বিসিক শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক আপেল মিয়া।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে ঈদ নিয়ে শ্রমিকের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ ঈদ আসলেই কেবল ভাবতে পারে পরিবার পরিজনের জন্য কিছু ভাল খাবার ও কিছু জামা কাপড় কেনার। এমনিতেই শ্রমিকের মজুরি কম।
তাই গার্মেন্টসে শ্রমিকরা ঈদের আগে অতিরিক্ত কাজ করে তাদের আয় বাড়ানোর জন্য। কিন্তু মালিকরা ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে কারখানাগুলোতে সংকট তৈরি করে। অধিকাংশ মালিকরা বোনাস না দিয়ে ৫০০/১০০০ টাকা বকশিশ দেয়। অনেক গার্মেন্টসে তাও দেয় না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেসিকের সমান বোনাস দেয়া হয়। অথচ যাদের উৎপাদনের কারণে দেশে বৈদেশিক মূদ্রা আসে তাদের ঠিকমতো বোনাস দেয়া হয় না। শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পূর্ণ বোনাস দিতে হবে। ঈদের আগে শ্রমিকের চলতি বেতন পাওয়া ন্যায্য।
শ্রমিকদের বেতন বোনাস ঈদের শেষ মুহুর্তে দিলে শ্রমিক বাড়ি যাওয়ার তাড়ায় ভালো করে কেনাকাটা করতে পারে না। ঈদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে অর্থাৎ ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকের পূর্ণ বোনাস ও মার্চ মাসের বেতনসহ সমস্ত বেতন পরিশোধ করতে হবে। বেতন বোনাস নিয়ে মালিকদের গড়িমসির কারণে শিল্প এলাকায় যদি শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তারজন্য মালিক ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।
নেতৃবৃন্দ, সাম্পান সুজের শ্রমিকদের ২ মাসের বকেয়া বেতন ও শারমিন স্টীল মিলস অবিলম্বে চালু এবং সকল গার্মেন্টসে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবি করেন।