সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাও. দ্বীন ইসলাম বলেছেন, দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং দেশের রাজনীতিও এখন আর এদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হয় না। দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হয় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ আসর ডিআইটি চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বাতিল, বিতর্কিত শিক্ষাকারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রমোট-এর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দেশে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। সরকারের বারবার ব্যর্থতার কারণেই মূল্যস্ফীতি এখন সকল সময়ের সীমা অতিক্রম করেছে। ভেঙে পড়েছে জাতীয় অর্থনীতি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং তারা যা করছে তার সাথে জনগণের স্বার্থের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকার এখন ডামি ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবর দখল করে জনগণকে শোষণ করছে।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সহ-সভাপতি মাও. শফিকুল ইসলাম, নগর সহ—সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, জেলা ও নগর সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি হাজী আমান উল্লাহ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাও. হাবিবুল্লাহ হাবিব, জেলার সেক্রেটারি সেলিম হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুহা. মেহেদী হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, সরকার এখন ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য মরিয়া। তিনি তামাশা ও ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান। জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের ডামি নির্বাচনের পর দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন। সরকার নিত্যপয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ।
তিনি আরও বলেন, ট্রান্সজেন্ডারসহ শিক্ষার অসঙ্গতি দূর করে ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনা, তাহজীব-তামাদ্দুন জাতিসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কারিকুলাম প্রণয়নের দাবি জানান। আলিয়া মাদরাসার পাঠ্যপুস্তক থেকে অপ্রয়োজনীয় চিত্রগুলো বাদ দিয়ে মাদরাসার স্বকীয়তা বজার রাখার আহ্বান জানান।