সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
শ্রমিক নেতা পলাশের পিতা ইদ্রিসআলী মেম্বার ও ছোট ভাই তালাশের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইদ্রিস আলী মেম্বার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত ।
জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাউসার আহমাদ পলাশ এর পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু:সময়ের কান্ডারি, বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও দানবীর মরহুম ইদ্রিস আলী মেম্বারের ২৫ তম ও তার ছোট ভাই কামরুজ্জামান তালাশ এর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ২৫ অক্টোবর আলীগঞ্জ লেবার হলে ইদ্রীস আলী ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ এর উদ্যোগে এ দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মহান রাব্বুল আলামীন যেনো মরহুম ইদ্রিস আলী মেম্বার ও কামরুজ্জামান তালাশকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সুউচ্চ মাকাম দান করেন সেই প্রার্থনা করে দোয়া পরিচালনা করেন আলীগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হারুন অর রশিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো জাহাঙ্গীর আলম সহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক নেতা পলাশের প্রতিষ্ঠিত ৩৫টি বিভিন্ন বেসিক ইউনিয়ন এর নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকব্ন্দ ।
উল্লেখ্য, ক্ষণজন্মা এই মানুষটি ১৯৩৯ সালের ১লা মে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন আলীগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম ধনাঢ্য পরিবারে পিতা শেখ আফসিন মাদবরের ঘরে জন্মগ্রহন করেন। তারা ছিলেন দুই বোন, তিন ভাই। ভাইদের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। তাঁর শিক্ষাজীবন কাটে নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরকারি তোলারাম কলেজে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর যখন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চলে, ঠিক তখনো নিজ এলাকায় আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠিত করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করে গেছেন প্রয়াত ইদ্রিস আলী মেম্বার। গণমানুষের অধিকার রক্ষায় সবসময় সোচ্চার এই রাজনৈতিক দলটির একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন তিনি।
তিনি অত্র এলাকায় দান বীর ইদ্রিস আলী মেম্বার নামেই খ্যাত ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় মেম্বার ছিলেন।সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, দান বীর ও গনমানুষের ভালোবাসার প্রয়াত এই নেতা সমাজের প্রতিটি স্তরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে রেখেছেন বহু অবদান।
স্বাধীনতার পর পাগলা জুনিয়র হাই স্কুলকে একটি পূর্নাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ে রুপান্তর করতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং তারই দেখানো ধারাবাহিকতায় আজ পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীট হিসেবে রুপ নিয়েছে। শুধুমাত্র এই একটি প্রতিষ্ঠানেই নয়, নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং আলীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ গড়ে তোলায় তাঁর ছিলো অসামান্য অবদান।
বর্ণাঢ্যময় জীবনে মরহুম ইদ্রিস আলী মেম্বার এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দেন। প্রয়াত এই নেতা যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে। একটি সুন্দর, আদর্শ, শিক্ষিত বাসযোগ্য সমাজ গঠনই ছিল তার মূল লক্ষ।