ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রারকে বাধা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। রোববার এ ঘটনা ঘটে।
এক মাসের বেশি সময় ধরে দাবি আদায়ে দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন ইবি কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। এবার ১৬ দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। শনিবার থেকে তারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এদিকে রোববার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপাচার্যের বাসভবনে ২৬১তম সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান উপস্থিত হলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে সভাস্থল থেকে বের করে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া সভা আয়োজনের সঙ্গে জড়িত অন্য কর্মকর্তা-কর্মচরীদেরও বের করে নিয়ে আসেন তারা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে সভা শুরু হয় বলে জানা গেছে।
সভায় আইসিটি সেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় অনলাইনে অংশ নিতে চাওয়া সিন্ডিকেট সদস্যদের প্রথমে যুক্ত হতে সমস্যা হয়। পরে তারা জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে অংশ নেয়। এছাড়া রেজিস্ট্রার ও টাইপিস্টরা না থাকায় সভার সিদ্ধান্ত রেজ্যুলেশন আকারে নথিভুক্ত করা যায়নি বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তাদের ১৬ দফা দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মকর্তাদের সেশন বেনিফিট বহাল রাখা, পোষ্য কোটার ভর্তিতে শর্ত শিথিল করা, পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যুগোপযোগী অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন।
এ বিষয়ে জীববিজ্ঞার অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ডকুমেন্ট দেখে আলোচনা করতে হবে এমন কিছু বিষয় পরবর্তী সিন্ডিকেটের জন্য রাখা হয়েছে।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, এ প্রশাসন দাবি মেনে নেয় কিন্তু কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। আগস্ট মাস থাকায় আমরা সব ধরনের আন্দোলন থেকে বিরত ছিলাম। তবে এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এছাড়া আমরা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রেজিস্ট্রারসহ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিন্ডিকেট থেকে নিয়ে গিয়েছি।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বলেন, আমি সিন্ডিকেট সভায় অংশ নেওয়ার জন্যই গিয়েছিলাম। পরে তারা (কর্মকর্তা) আমাকে সভায় অংশ নিতে দেয়নি। আমাকে ভিসির বাংলো থেকে কর্মকর্তারা ঘেরাও করে আমার অফিসে নিয়ে এসেছে। আর আমি তো কর্মকর্তা সমিতির বাইরে যেতে পারি না। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।