শ্রমিক নেতা রফিক খান স্মরণে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আজ বিকাল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি এডভোকেট মন্টু ঘোষ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির জেলার সভাপতি শহীদুল ইসলাম নান্নু, গার্মেন্টম শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অঞ্জন দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন জেলার সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা সাচ. বিপ্লবী গামেন্টস শ্রমিক সংহতির জেলার নেতা নাসির হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি জেলার সম্পাদক আব্দুল আল মামুন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। ফলে শ্রমিকরা তাদের খাদ্য তালিকা খাবার কমিয়ে, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা বন্ধ করে বেচে থাকার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ৮৯ ভাগ শ্রমিক অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। দেশে জাতীয় নি¤œতম মজুরি কোন আইন নেই। গার্মেন্টসে ২০১৮ সালে নি¤œতম মজুরি ঘোষিত হয়েছে ৮ হাজার টাকা। যা এখনও সমস্ত কারখানায় চালু হয়নি। নতুন মজুরি বোর্ড গঠন হয়েছে। অবিলম্বে বাজার দর বিবেচনায় নিয়ে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমিকরা তার অধিকারের কথা বললেই মালিকরা শ্রম আইন ও বিধির শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী আইন ব্যবহার করে শ্রমিক ছাঁটাই করে, দেয় মিথ্যা মামলা। শ্রম প্রতিমন্ত্রী সংসদে শ্রমিক স্বার্থ পরিপন্থী ‘অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল’ নামে একটি বিল উত্থাপন করেছে। এটা পাশ হলে দেশে ১৮ টি সেবা সেক্টরে শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। এ সময়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই শ্রমিকের অধিকার আদায়ের একমাত্র পথ। এক্ষেত্রে রফিক খানের সংগ্রামের শিক্ষা শ্রমিকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি রেশন প্রদানের। কিন্তু জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনায় শ্রমিককের রেশনের বিষয়ে কোন কথা নাই। বর্তমান সংকট মোকাবিলা করে উৎপাদনকে চালিয়ে নিতে শ্রমিকদের আর্মি রেটে রেশন দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ ঈদের আগে শ্রমিকের জুন মাসের বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, আইন এবং বিধিমালার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমুহ বাতিল করে গনতান্ত্রিক শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং ‘অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল’ বাতিলের দাবি জানান।