নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সেবা নিতে আসা জনসাধারনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে! সদর থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবলদের দাপট চরম আকার ধারন করছে বলে মনে করছেন অত্র থানায় সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন।
পাশাপশি এ ধরনের কর্মকান্ডের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চললেও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিচুর রহমান কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেননি বলে জানান অত্র থানায় আসা ভূক্তভোগী ব্যাক্তিরা।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ প্রোটাল খবর নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট কম” এর রিপোর্টার মোঃ সাজু হোসেন (২৭) তার এক সহকর্মী ফটো সাংবাদিককে সাথে নিয়ে সদর থানায় এসে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সদর থানায় ডিউটিরত পুলিশ কনস্টেবল ফখরুল ইসলাম এর নিকট অসৌজন্য মূলক আচরনসহ শারিরীক ভাবেও লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় ওনদিনই বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগের বিবরনে সাজু হোসেন জানান, ২৫ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তার সহকর্মী ফটো সাংবাদিক মশিউর রহমানকে সাথে নিয়েপেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য থানায় গেলে থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল ফখরুল ইসলাম বলেন, কার অনুমতি নিয়ে থানার ভিতরে ঢুকেছেন? তখন আমার সহকর্মী বলে আপনারা কথা বলতেছিলেন সেজন্যে কার কাছে বলবো।
তখন আমি বলি আমার এক লোক অভিযোগ করার জন্য থানায় আসবে দেখতে গেলাম তিনি এসছেন কিনা। এ সময় আমাকে ধমক দিয়ে বলেন আপনি কি করেন? তার প্রশ্নের জবাবে আমি তখন বলি আমি সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য এসেছি।
এ কথা শুনে তিনি বলেন “পিকআপ নিয়া কথা বলছেন কেন” উত্তরে আমি বলি আপনি জিজ্ঞাসা করেছেন আমি সেটার উত্তর দিয়েছি। এখানে পিকাপ এর কি হলো। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কনস্টেবল ফখরুল ইসলাম আমার সহকর্মীকে ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেওয়ার সময় আমি জিজ্ঞাস করি আপনি একজন সাংবাদিককে থানা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করছেন কেন?
এ সময় পুলিশ কনস্টেবল ফখরুল ইসলাম আমার টি-সার্টের কলার ধরে টেনে হেচরে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে থানার লকাবে ভেতরে নিতে চায় এবং শরীরে হাত দিয়ে ধস্তা ধস্তি করে (সমল বিষয়াদি গুলি থানার সিসিটিভির ক্যামেরায় সংরক্ষিত রয়েছে)। আমি এ ধরনের অমানবিক কর্মকান্ডের সুষ্ঠ বিচার চাই।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আসা ভূক্তভোগিরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত তারা অত্র থানায় সাথারন ডায়রী ও অভিযোগ করতে এসে ভেতরে প্রবেশ করতে পদে পদে বাধার সন্মক্ষাীন হন থানায় কর্মরত পুলিশ কনেস্টেবলদের দ্বারা! এ সকল পুলিশ কনস্টেবলদের ভাব দেখে মনে যেন তারা কোন পাঠশালার শিক্ষক আর যারা থানা সেবা নিতে আসেন তারা হলেন ছাত্র। কঠিন নিয়ম কানুন মেনে এই থানায় প্রবেশ করতে হয় সাধারন মানুষকে।
ভেতরে প্রবেশ করলে জবাব দিহি করতে হয় কি কারনে এসেছেন, কার কাছে এসেছেন? থানায় এনে নির্ধারিত চেয়ারে বসে কথা বলতে হয়, কারো দাড়ানোর কারনে সিসি ক্যামেরা না দেখা গেলে ডিউটি অফিসাররা বলেন, ওখানে চুপ করে বসুন আপনার মাথার জন্য লোক দেখা যায় না।
এ সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ম-কানুন ও আচরন দেখে যে কারোরই মনে হতে পারে এটা কি থানা নাকি অন্য কোন অফিসের কর্যালয়!