নারায়ণগঞ্জে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা শাখার উদ্যেগে পিতা-পুত্র শীর্ষক প্রতিকৃতি উন্মোচন এবং কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিক।
প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম নাসরিন কাদের সিদ্দিক।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিক বীর উত্তম বলেন, দেশের অবস্থা একেবারে ভাল না। আমাদের বিএনপির একজন নেতা, ভাল মানুষও বলা যায় তাকে। তিনি হঠাৎ কেন যেন বলে বসলেন বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ভাল ছিল। যে বাংলাদেশের জন্য আমি রক্ত দিয়েছি, সত্যিকারের রক্ত। কারও যদি মনে হয় বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তান ভাল ছিল তার এক মুহুর্ত বাংলাদেশে থাকার দরকার কী। তুমি পাকিস্তানে গিয়ে নাচানাচি করো। বাংলাদেশে তোমার থাকার দরকার নেই। এই দেশে থাকবা। এই দেশের আলো বাতাস নিবা। আর পাকিস্তানের গুণকীর্তন গাইবেন। পাকিস্তানও খুব সুখে নেই। ইমরান খানকে ঘাটে ঘাটে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার দেশে রাজনীতি করে পাকিস্তানি গুনকীর্তন গাইবেন না। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবেন না আমরা যতদিন বেঁচে আছি।
তিনি বলেন, গামছার দল করি বলে নৌকাওয়ালার ভাইবেন না বঙ্গবন্ধু সবখানি আপনার। বঙ্গবন্ধু যখন মারা যায় তার তিন ছেলেকে যখন মেরে ফেলা হয়, অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা তখন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে ওরা নির্বংশ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা আমি নেবোই নেবো। যদি প্রতিবাদ না করতাম আমার ছোট ভাই শামীমও বাঁচত না আইভীও বাঁচত কীনা জানি না৷ তাই একটু ভেবে চিন্তে কথা বলবেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিক বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আমি খুব ভালবাসি। নারায়ণগঞ্জের সাথে আমার রক্তের বন্ধন। আজ থেকে ৭০/৮০ বছ আগে আমার দাদা এই নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যাবসা করতেন। পাকিস্তানের নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন। তার বিশাল পাটের ব্যাবসা ছিল। কোথায় ছিল কী ছিল আমরা জানি না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি হঠাৎ মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আরেকজন বলেছেন হঠাৎ বাংলাদেশ হয়েছে। বাংলাদেশ না হলে আপনি চায়ের দেকানেও কাজ করতে পারতেন না। বাংলাদেশ হওয়ায় বহু মানুষের তেল হয়েছে। এ দেশটাকে বাঁচাতে হবে। এখানে আসার সময় চমৎকার লেক দেখলাম। আমি নারায়ণগঞ্জে কোন দুর্গন্ধ দেখতে চাই না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইমরান জিসান, সেক্রেটারি মো. জামান প্রমুখ।