সকাল নারায়ানগঞ্জঃ তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে সাংসদ সেলিম ওসমান বলেছেন, একসাথে কাজ করলে যত বড় সমস্যাই থাকুক তা সমাধান হয়ে যাবে। আমরা যেটা পারিনি, ওরা সেটা পেরেছে। তাদেরকে পুরস্কৃত করেন। আপনি কোন দল করেন সেটা বিষয় নয়, এটা নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য এই ১৭ জনের ভোটটা আপনিই দিবেন। আপনি যদি নারায়ণঞ্জের মানুষ হয়ে থাকেন তবে, তাদেরকে ভোটটা দিতেই হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে শহরের বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগ পন্থী আইনজীবী প্যানেলের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথা বলেছেন।
সেলিম ওসমান বলেন, নিজেদর মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল। আরেকটা প্যানেল ছিল। কিন্তু সে সমস্যা কেটে গেছে। তাই আমি নিশ্চিত আপনারা যদি এক হন তাহলে নাইনটি নাইন পার্সেন্ট ভোট আপনারা পাবেন। আমি বায়তুল মোকারমের সামনে দাঁড়িয়ে মুরগি বিক্রি করেছি। আজকে সেই কষ্টের ফল পেয়েছি। জুয়েল যে কষ্ট করেছে আজকে সেই ফল পাচ্ছেন। জুয়েল নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের ভবিষ্যত করে দিয়েছেন। একজন আইনজীবীর মৃত্যুতে তার পরিবারের সদস্যরা ১১ লাখ টাকা পাবে এমন নিশ্চয়তা এনে দিয়েছেন। আর এই কৃতিত্ব আপনাদের সাধারণ আইনজীবীদের। কারন আপনারা গত নির্বাচনে উনাদেরকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমি জুয়েলকে স্যালুট জানাই।
তিনি এবারের নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী মোহসীন মিয়ার সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ওর মত মানুষ নেতৃত্বে থাকলে কোনো আইনজীবী তাকে সন্দেহ করতে হবে না। এই প্যানেলকে নির্বাচিত করেন। আমি ১৭ জনের সাথেই নির্বাচনের পরে বসবো। যারা অপজিশন আছেন, তারাও চিন্তা করেন। এই প্যানেল থাকলে বার ভবন আটতলা হবে। ওরাই আমার কাছে গিয়েছিলো। আমি ওদের জন্যই এসেছিলাম। যতদিন আমি বেঁচে থাকতো ততদিন আটতলা বিল্ডিংয়ের স্বপ্ন দেখবো।
সাংসদ বলেন, আপনারা যে ১৭ জন আছেন, আপনারা সততার সাথে কাজ করবেন। আপনারা ওয়াদা করেন, সবার জন্য কাজ করবেন। যাতে একজন আইনজীবীও আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে না পারে। মানুষ যথাযত সম্মান চায়।
তিনি বলেন, যারা অপজিশনে নির্বাচন করছেন তারা বুুঝে নেন, এদের পিছনে কেউ আছেন। আপনারা ১৭ জন জয়ী হওয়ার জন্য ১৩০২ জন সদস্যকে কষ্ট দিতে আসবেন না। এটা হবে না। নারায়ণগঞ্জে জিতে যাবেন আর জেলের তালা খুলে দিবেন। এটা লাভ হবে না। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর শত বার্ষিকীতে এই ভবন উদ্বোধন করবো।
তিনি আরও বলেন, আমার নিজের ইলেকশনেও আমি কাউকে বলি নাই আমাকে ভোট দেন। কিন্তু আজকে আমি বলবো, হাত পেতে আপনাদের কাছে চাইবো। এই ১৭ জনকে জয়ী করে আমাকে দেন, আমি আপনাদের বিল্ডিং করে দেব। আপনাদের দায়িত্ব হবে, আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সকল ভোট তাদের পক্ষে যেন আসে সে ব্যবস্থা করেন।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূইয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সাবেক সদস্য অ্যাভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টি এর সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূইয়া, জেলা জাতীয় পার্টি আহ্বায়ক আবু জাহের, বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু প্রমূখ।