নারায়ণগঞ্জ শহরে বেপরোয়া পকেটমার চক্র। এ চক্রে আছে নারীরাও। বিভিন্ন টার্মিনাল, বাসস্টপেজ, যাত্রীবাহী বাস, জনবহুল স্থান, শপিংমল, হাসপাতালে ওঁৎ পেতে থাকে চক্রের সদস্যরা। সুযোগ পেলেই তারা যাত্রীদের পকেট কেটে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় প্রতিদিন কম করে হলেও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি পকেটমারের কবলে পড়ছেন। কিন্তু প্রতিকার চাইতে কেউ পুলিশের দ্বারস্থ হন না। ক্ষতিটা মুখবুজে সয়ে নেন।
১৬ই জানুয়ারি রোজ সোমবার শহরের ২নং রেল গেইট এলাকার মনির হোটেলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় এক নারীর নিকট থেকে ব্যাগে থাকা একটি স্বর্নের চেইন,২৫০০০ টাকা,দুটি এন্ড্রয়েড মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এর আগেও এই চক্রটি ধরা পড়ার পর তাদের সাথের সিন্ডিকেটের আরো কিছু পকেটমার ও ছিনতাইকারীর নাম বলেন যারা হচ্ছেন রেহেনা,আলো,ফতেয়া,পিংকিসহ আরো অনেকে।এই সিন্ডিকেটের মুলহোতা হলেন কুত্তা কালাম যার শেল্টারে এইসব পকেটমারেরা রাস্তায় সাধারন জনগনের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এই কুত্তা কালামের বউ হচ্ছে রেহেনা যাকে দিয়েও তিনি এই কাজ করিয়ে বেড়ান।
সূত্র জানায়,নারায়ণগঞ্জ শহরে পুরুষের চেয়ে নারী পকেটমারচক্র বেশি সক্রিয়। এরা একেক স্থানে একেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। হাসপাতালে যায় রোগী সেজে, বাসে ওঠে যাত্রীবেশে, আর মার্কেটে যায় ক্রেতা সেজে। সুযোগ পেলেই এরা পুরুষের মানিব্যাগ, মোবাইল, মহিলাদের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে টাকা-পয়সা মোবাইল সেট নিয়ে সটকে পড়ে। নারী হওয়ায় এরা ধরা পড়ে কম। আবার ধরা পড়লেও ছাড়া পেয়ে যায়। পুরুষ পকেটমাররা ধরা পড়লে গণধোলাই দেয়া হয়, নারী পকেটমারদের ক্ষেত্রে সেরকম হয় না।