নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, দীর্ঘ ২৭ বছর এই এলাকায় সম্মেলন হচ্ছে। আজকের দিনটা তাদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আমরা শন্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন করতে চাই। আমরা চাইলেই পারতাম ঘরে বসে কমিটি করতে কিন্তু আমরা সেটা করি নাই। আমাদের মহানগরের সভাপতি আনোয়ার ভাইয়ের ২টা মেয়ে, আমার একটা ছেলে। আমার ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। সে আর কোনদিন দেশে আসবে কিনা জানিনা। রাজনীতি করবে করবে না। কারণ সে দেখেছে তার বাবার উপর কিভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। তাই সে আর কখনো রাজনীতি করবে না। রাজনীতিতে আমাদের কোন ওয়ারিশ নাই, তৃণমূল আমাদের ওয়ারিশ আমাদের ভবিষ্যৎ।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২২ ও ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে, প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে খোকন সাহা বলেন, জামাত-বিএনপি ও হেফাজতের সাথে আপনারা কখনো আপস করবেন না। মানুষ কেনো জামাত-বিএনপি করে? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যদি আমরা ভালোভাবে প্রচার করতে পারতাম, তাহলে জামাত-বিএনপির মতো সংগঠন এই দেশের মাটিতে থাকতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাজাকার আল বদরদের প্রতিষ্ঠা করেছে, মন্ত্রী বানিয়েছে। বিএনপি ২-৩টা আমলে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। সবচেয়ে বেশী হয়েছে মেডাম খালেদা জিয়ার আমলে, জোট সরকারের আমলে। শত ষড়যন্ত্র করে আমাদের পরাজিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট করতো। আমরা বিদ্যুৎ পেতাম না ঠিক মতো। কিন্তু এখন দেশে বিদ্যুতে শয়ং সম্পূর্ণ। আপনারা নেত্রীর উপর ভরসা রাখবেন। কারণ নেত্রী বেচেঁ থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। করোনার সময় দলগত হোক বা দলগত না হোক। আমরা একটি মানুষকেও না খেয়ে মরতে দেই নাই। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টার্ণেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এসব জিনিস প্রচার করি না।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, সাবেক মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা সুজিত সরকার, ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোক্তার, মোসাদ্দেক আলী আঙ্গুর, সালাউদ্দিন, মশিউর রহমান সুজু, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকির হোসন, ২১নং ওয়াডের আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হোসেন আরিফ প্রমুখ।