বিদ্যুৎ সঙ্কটে সরকার ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করলেও নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চলছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে বিদ্যুৎ সঙ্কটে ভুগছে বৈধ গ্রাহকরা। মাঝেমধ্যে ডিপিডিসি এসব অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনার পর ফের বেশি টাকা গুনে আবারো সংযোগ নিয়ে থাকে বিদ্যুৎ চুরির সাথে জড়িতরা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত ও সড়কের বিপনীবিতানে শত শত অবৈধ বিদ্যুৎ বাতি জ্বলে। একটি বাতি থেকে দিনে গড়ে ২৫ টাকা আদায় করা হয়। সে হিসাবে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শহরের প্রভাবশালী একটি
চক্র।
অন্যদিকে সরাসরি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। আর পকেটভারী হচ্ছে ওই চক্রের সদস্যদের।
খুটি থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে অবাধে দোকান চালায় সড়কের দুই ধারের বিপনীবিতানগুলো। বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সকল নির্দেশনা পালনে জেলাব্যাপী নারায়ণগঞ্জ ডিপিডিসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসব।
সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে
কয়েক শতাধিক দোকান। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলোর আলোতে ঝলমলে থাকে পুরো এলাকা। তবে এখানের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ সংযোগই অবৈধ। একই পরিস্থিতি শহরের প্রধান প্রধান সড়কের চারপাশে।শায়েস্তাখান সড়ক, নবাব সিরাজউদ্দোল্লাহ সড়ক ও নবাব সলিমুল্লাহ সড়কগুলো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের আখড়া।
বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকানগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন এক বাতির জন্য দোকানিদের দিতে হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু এই বিল জেলা বিদ্যুৎ বিভাগে নয়, দোকানিদের বিলের টাকা হাতিয়ে নেয় শহরের প্রভাবশালী মহল।
এক দোকানি বলেন, এক বাতির জন্য প্রতিদিন ২০ টাকা দেই একজনরে।
শায়েস্তাখান রোডের অন্য এক দোকানি বলেন, আমরা লাইন চালাই, বিদ্যুৎ বিল ২৫ টাকা নিয়ে যায়। বিল দেয় কিনা জানি না ।
সাধারণ জনগনবাসীর দাবি, মানুষের দাবি,চাষাঢ়া হকার্স মার্কেট,কালিরবাজার ফ্রেন্স মার্কেটের আশে পাশে,ফলপট্টি,২ নং রেল গেইট,শেখ রাসেল পার্কের সামনে ,খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সামনে রাস্তার পাশে বিভিন্ন হকার ও দোকান বসে এরা বিদুৎ পায় কোথায় এদের মিটার কোথায় তদন্ত করে দেখা দরকার।
কালিরবাজার এলাকার এক বাড়িওয়ালা জানান,সরকার কিছু দিন পর পর বিদ্যুৎ বিল বাড়াচ্ছে। ডিপিডিসি,পুলিশ প্রশাসন যদি সততার সাথে এইসকল অবৈধ সংযোগকারীদের উপর ব্যবস্থা গ্রহন করে তাহলে সরকার একদিকে যেমন তার রাজস্ব খুজে পাবে অন্যদিকে সাধারন জনগন লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।