নারায়ণগঞ্জের ২নং রেল গেইট এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আরো কয়েকশ’ খুচরা ব্যবসায়ী। যারা বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও শহরের অলিগলিতে মাদক ব্যবসা করে।
দেশে বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি মাদকসেবী রয়েছেন। এর মধ্যে ১ কোটি মাদকাসক্ত। তারা প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি টাকার মাদক সেবন করে থাকেন।সেই হিসেবে মাসে প্রায় ৬’শ কোটি টাকা মাদকে ব্যয় হয়। অন্যদিকে দেশে প্রায় ৩০ লাখ মাদক ব্যবসায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে দু’শো কোটি টাকার মাদক কেনা-বেচা করেন।
সদর থানার পুলিশ শহরের অন্যান্য এলাকা মাদকের ব্যপারে কঠোর ভুমিকা নিলেও ২নং রেল গেইট এলাকায় পুলিশের তৎপর না থাকায় আর এ সুযোগে এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেপোয়ারা হয়ে ওঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে। এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে গডফাদাররা সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২নং রেল গেইট এলাকায় যেসকল মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা হলো ইমরান,দিপু,রুবেল এর ভাই নয়ন,অসত,ফর্মা উজ্জ্বল,শাহিন,ইমান,পুতুলি,দুলালি,বিল্লাল,তাছলি ও দুলালের মেয়ে অপর্না।
নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজের দাবি,ধূমপান থেকেই ধীরে ধীরে মাদকের প্রতি আসক্তি শুরু হয়। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত রয়েছে মাদকের বিস্তৃতি। আসক্তি শুরুর পর টাকা জোগাড় করতে কিশোর-তরুণরা নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে মাদকসেবীরা দিন দিন হয় উঠছে আরো বেপরোয়া।
তাদের মতে,দেশের সর্বত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রম,স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করা, হত্যা কিংবা সড়ক দুর্ঘটনার আধিক্যে মাদকাসক্তির ভূমিকাই বড়। মাদকসেবীদের চিকিৎসায় সকল তাদের পরিবারের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা অধিক প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।