1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
নারায়ণগঞ্জের অবৈধ ক্লিনিকগুলোর একমাত্র ভরসা দালাল চক্র - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ওএমএস ডিলার নিয়োগে উন্মুক্ত লটারী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা  ”নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত নাসিক প্রশাসক’র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন  লুটপাট-ছিনতাই-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী-খুন-ধর্ষণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন   তথ্য প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতা অর্জনে ডিজিটালাইজেশন অত্যাবশ্যক। – আনন্দধাম  মানবতার মুক্তির দূত রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুকরণ, অনুসরণ একমাত্র মুক্তির পথ- আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ  ঘরের মা, মসজিদের ইমামেরও নিরাপত্তা নেই : মোমিন মেহেদী মরহুম খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন সাহেবের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান সোনারগাঁয়ে সাড়ে সাত’শ বছরের প্রাচীন গ্রন্থাগার সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের অবৈধ ক্লিনিকগুলোর একমাত্র ভরসা দালাল চক্র

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৬২ Time View
  • সকাল নারায়ণগঞ্জ

 

নারায়ণগঞ্জ  জেলার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মানা হচ্ছে না আইন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালের সামনে ও আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো নাম মাত্র ভবন ভাড়া নিয়ে গজিয়ে উঠেছে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

 

যার বেশির ভাগের নেই লাইসেন্স। হাতে গুনা কয়েকটির লাইসেন্স থাকলেও নেই হাল নাগাদ নবায়ন। আবাসিক ভবন এবং বাণিজ্য ভবনে মোটা অংকের জামানত দিয়ে চলছে এই অবৈধ হাসপাতাল বানিজ্য।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দশ বেড এর নামে আবেদন করা হাসপাতালে রয়েছে বিশ থেকে ত্রিশ বেড। নেই সঠিক জনবল। তবুও চলছে দিনের পর দিন। তবে এসব হাসপাতালের দেখা শুনা করার কথা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের। কিন্তু দেখেও না দেখার ভান করে আছে তারা। এ যেন ঘুমে বিভোর নারায়ণগঞ্জ  জেলা সিভিল সার্জন অফিস।

 

আর এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চলছে নিয়োজিত বেতনভুক্ত দালাল দিয়ে। অতিরিক্ত অর্থের লোভে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ভাগিয়ে নিচ্ছে এসব বেসরকারী হাসপাতালে।

 

সরকারি হাসপাতালের এক শ্রেণির ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয় ও আয়ারাও রোগী ভাগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে নির্ধারিত কমিশন পাচ্ছেন। সরকারি আইন অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালগুলোর সন্নিকটে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল থাকতে পারবে না। অথচ সরকারি হাসপাতালের আশেপাশেসহ জেলায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে করছে রমরমা ক্লিনিক বাণিজ্য। এই বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অধিকাংশেরই মালিক ডাক্তার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

 

এই বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘিরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সর্বত্রই সরকারি হাসপাতালের কাছাকাছি গড়ে ওঠা দালাল নির্ভর এসব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে মানুষ সর্বাস্ব হারাচ্ছে এবং ভুল চিকিৎসায় মারাও যাচ্ছে রোগীরা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, একশ্রেণির দালাল ও সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে সিন্ডিকেট করেই এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।

 

কোনো কোনো হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স নেই। আবার গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকলেও অন্য ডাক্তার দিয়ে সিজার করানো হচ্ছে। এ কারণে তৃণমূলে ৫০ শতাংশ সিজার হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ। এসব ত্রুটিপূর্ণ সিজারের কারণে মা ও শিশু উভয়ের জীবন পরবর্তী সময়ে বিপন্ন হয়ে পড়ে। বেঁচে থাকলেও স্বাভাবিক জীবনে তাদের ফিরে আসার সম্ভবনা কম বলে গাইনি বিশেষজ্ঞরা জানান।

 

বিভিন্ন সময় র‌্যাব ও জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছেন। নামমাত্র দু’একটি প্রতিষ্ঠানে সিলগালা ও নিষেধজ্ঞা করে দেওয়া হয়। কিন্তু নানা কৌশলে প্রতিষ্ঠানগুলো সচলই থাকে।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL