নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ক্লু-লেস “কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোমেন” হত্যা মামলার একজন হত্যাকারী মোঃ তারেক (১৮)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-১।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর রাতে আড়াইহাজারের পাঁচবাড়ীয়া হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
একই দিন বিকেল ৫ টায় র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প এর কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক, স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া যে কোন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ২০২২ ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন ঝাউগড়া বাজার এলাকায় কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ আলমগীর (৪৫) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৭/১০/২০২২ ইং।
ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ প্রেক্ষিতে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামী মোঃ রাহাত (১৯)’কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে সে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক সে সহ ধৃত আসামী মোঃ তারেক (১৮) হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ উক্ত হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ডিসেম্বর ভোর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর আভিযানে হত্যাকারী আসামী মোঃ তারেক (১৮), পিতা- মোঃ জামান, সাং- ঝাউগড়া, থানা- আড়াইহাজার, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে আড়াইহাজারের পাঁচবাড়ীয়া হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মোমেন (৩২) পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। সে প্রতিদিন গাউছিয়া কাঁচামালের আড়ত থেকে ১০/১২ হাজার টাকার কাঁচামাল ক্রয় করে শালমদি একতা বাজারে এনে বিক্রয় করতো। ঘটনার দিন ভোর রাতে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা যোগে ভিকটিম মোমন ঘটনাস্থল ঝাউগড়া বাজারস্থ পল্লীবিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এলাকায় পৌছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা আসামীরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের অটোরিক্সার গতিরোধ করে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাধা প্রদান করে।
তখন আসামীরা ভিকটিমের বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভিকটিম মোমেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী তারেক উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
উক্ত হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামীকে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হন্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১১, সিপিসি-১ তৎপর রয়েছে।