নারায়ণগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার যানবাহন। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য। মিশুক,অটো,নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি, ইজিবাইক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। হাইওয়ে সড়ক থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা ও গ্রামীণ সড়কেও রয়েছে এসব গাড়ির আধিপত্ত্ব। মিশুক,অটো,নছিমন, করিমন, আলমসাধু ও ভটভটির মতো যানবাহন স্থানীয়ভাবে তৈরি করা যানবাহন চলাচলের কারণে দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। পঙ্গু হয়ে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন অনেকে।
সড়কে থ্রি হুইলার, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যানসহ অযান্ত্রিকযান চলাচল করায় মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। কোন ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই সড়ক-মহাসড়কে রাজত্ব করছে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন। এসব যানবাহন নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে প্রতিনিয়তই চলাচল করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এখনো পর্যন্ত নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশার নিবন্ধন দেয়নি। এগুলোর চলাচলের ব্যাপারেও বিআরটিএরও কোনো অনুমোদন নেই। এসব বাহন বন্ধে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসব যানবাহনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেশি হওয়ার প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহনসহ তিন চাকার পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ নিষিদ্ধ ও অননুমোদিত নছিমন, করিমন, আলমসাধু ও ভটভটির মতো দেশে তৈরি যানবাহন। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বা রিকশারও নেই অনুমোদন। এসব যানবাহনের কারিগরি মানোন্নয়নের শর্তে নির্দিষ্ট সংখ্যায় ও এলাকাভেদে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
নারায়ণগঞ্জের ট্রাফিক পুলিশ নিত্যান্তই এসকল নিষিদ্ধ তিন চাকার বাহন শহরের প্রবেশ বন্ধ করতে ব্যার্থ।অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় ট্রাফিক পুলিশ কিছু কথিত সাংবাদিকদের সাথে পরামর্শ করে স্টিকার লাগানোর কথা বলে থাকে যাতে তারা সেই স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখা মাত্রই ছেড়ে দিতে পারে।আর যেইসকল গাড়িতে স্টিকার লাগানো না থাকে তাদেরকে রেকারে ধরে নিয়ে গিয়ে বিল করানো হয়ে থাকে।