বন্দরে রেলওয়ে সম্পত্তি দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনার আহত বা নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া না গেলে বারেক মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিপক্ষের দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরসহ দোকান র্নিমান সামগ্রী লুট করে প্রায় লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে পালিয়ে গেছে বলে প্রত্যেক্ষদর্শীদের সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার ফুলহর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু বকর ছিদ্দিক দ্রুত ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সে সাথে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা র্নিদেশ প্রদান করে আগামী সোমবার বেলা ১১টায় বারেক মেম্বার ও তার ভাতিজা ফরহাদকে উভয় পক্ষকে বন্দর থানায় তলব করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ বন্দর থানায় পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী ও প্রতেক্ষদৃশি সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.একে.এম. নাসিম ওসমান সেতুর শুভ উদ্ধোধনের পর থেকে মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের রাস্তা প্রসস্ত করনের কাজ শুরু হয়। রাস্তা প্রসস্ত হওয়ার কারনে বন্দরে প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা নিজ দায়িত্বে সড়িয়ে নেয় দোকান মালিকেরা। এর ধারাবাহিকতায় গত রোবার সকালে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বারেক মিয়ার ভাতিজা ফরহাদ মিয়া তার নিজ দায়িত্বে রাস্তা প্রসস্ত করণের জন্য তার দোকান পাট সড়িয়ে নিয়ে তার রেলওয়ে লিজকৃত জায়গায় দোকানপাট নির্মান কাজ শুরু করলে ওই সময় স্থানীয় মেম্বার বারেক মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা লিজকৃত রেলওয়ে জায়গা দখল করার উদ্দেশ্যে দোকান নির্মান কাজে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে বারেক মেম্বার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানপাট ভাংচুর চালিয়ে দোকান তৈরি নির্মান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শঙঙ্খলা বজায় রাখাসহ উভয় পক্ষকে বন্দর থানায় তলব করেন।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় উক্ত এলাকায় দুই পক্ষর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রেলওয়ে জায়গা দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তকইত সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।