নারায়ণগঞ্জের ৩ নং মাছ ঘাটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ট্যাম্পো ইলিশ। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অধিকাংশ হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে ট্যাম্পো ইলিশ। উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। নিষেধাজ্ঞার সময়ে আট মাস ট্যাম্পো ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছে না।
নভেম্বর হতে মে (কার্তিক মাসের মাঝামাঝি হতে জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি) মাস পর্যন্ত ২৩ সেন্টিমিটারের (৯ ইঞ্চি) নিচের ইলিশ (যা “জাটকা” নামে পরিচিত)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন হাটে বাজারে অবাধে ট্যাম্পো ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ছোট ট্যাম্পো ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে আর বড় বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই ট্যাম্পো ইলিশ শিকার করতে হয়।
৩নং মাছ ঘাট বাজার থেকে ট্যাম্পো ইলিশ ক্রেতা বলেন, বড় ইলিশ মাছের দাম বেশি তাই কমদামে ট্যাম্পো ইলিশ কিনেছি। নিয়মিতই এই বাজারে ট্যাম্পো ইলিশ পাওয়া যায়। উপার্জন কম তাই কিনছি। প্রশাসন যদি ট্যাম্পো ইলিশ ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
গোপনসূত্রে জানা যায়, ৩ নং ঘাটে যখন যেই ধরনের অবৈধ মাছ প্রবেশ করে যেমন জাটকা,ট্যাম্পো ইলিশ,টেগা পাঙ্গাস ও পাঙ্গাসের পোনাতখন রশিদ পুলিশ প্রশাসন কে ব্যবস্থা করে বিভিন্ন মানুষের নাম করে টাকা উঠায়।
বেশ কিছুদিন আগে রশিদ অবৈধ মাছ ব্যবসায়ের দায়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানাও দেন।
জানা যায়,বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাকে রশিদ নিয়ন্ত্রন করে থাকেন এবং বেশ কিছু ঘর থেকে টাকা উত্তোলন করেন পুলিশের এবং বিভিন্ন সংস্থার নাম ভাংগিয়ে।
সাধারন জনগনের দাবী,মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যাতে এদেরকে জরিমানা না করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করেন।