নারায়নগঞ্জের কাশিপুর বাংলা বাজার এলাকার ১২ বছরের এক কিশোরীকে অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে নারীসহ ৪জন পাচারকারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
৪ ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় চাষাড়া শহীদ মিনার থেকে ইসমাম ও বিথি আক্তারকে ফুসলিয়ে কৌশলে অপহরন করেন অপহরন চক্রের দুই নারী সদস্য।
মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, গত ৪ই নভেম্বর বিকাল ০৫ঃ৩০ ঘটিকার সময় ইসমাম ও তাহার বান্ধবী বিথি আক্তার চাষাড়া শহীদ মিনার এলাকায় বেড়াতে যায়।ঐ দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় অপহরনকারী রুনা ও সুমি ফুসলাইয়া কৌশলে ইসমাম ও বিথি আক্তারকে অপহরন করিয়া ফতুল্লা থানাধীন বুড়ির দোকানস্থ রুনার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে রুনা ও সুমি ইসমাম ও বিথিকে ফতুল্লা থানাধীন আলীগঞ্জ সাইফুল ইসলামের নিজ বাসায় নিয়ে যায় সেখানে সাইফুল ইসমামের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপজোরপূর্বক ধর্ষন করে।বিথি কৌশলে সেখানে থেকে পালিয়ে নিজ বাসায় চলে আসে। পরে বিথি আক্তারের নিকট থেকে তথ্য নিয়ে আমার মেয়েকে সম্ভাব্য জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করি।
পরে ইসমামের পরিবারের অনেক খুজাখুজির পর কোথাও না পাইয়া সদর থানায় দারস্থ হলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া প্রথমে ইসদাইর বুড়ির দুকান এলাকা হইতে অপহরণকারী রুনা ও সুমিকে আটক করেন এবং তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক ০৮/১১/২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ২৭ নং ডন চেম্বার জাহিদ ভূইয়ার বাড়ীর ৪র্থ তলা বিল্ডিংয়ের নিচ তলা আশিকুজ্জামান আশিকের ফ্ল্যাট হইতে ইসমামকে উদ্ধার করেন।
ইসমামকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে,রুনা ও সুমা ০৫/১১/২২ তারিখ রাত আনুমানিক ৮ঃ৩০ ঘটিকার সময় ইসমামকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ২৭নং ডন চেম্বার জাহিদ ভূইয়ার বাড়ির ৪র্থ তলা বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় নিয়ে যায় এবং আশিকুজ্জামান আশিক,অভি,শুভ,রতন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ইসমামকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করাইয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করেন।
আসামীগন ইসমামকে ৪ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা হইতে ৮ই নভেম্বর সকাল ৮ ঘটিকার মধ্যে অপহরন করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়া নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করাইয়া জোরপূর্বক ধর্ষন করে।