“ভাই লাগবে, কয়টা লাগবে। ভালো মাল আছে, একদাম ৭০ টাকা।’ নারায়ণগঞ্জের ২ নং রেললাইন এলাকায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই এমন কথা শোনা যায়। যারা এ কথার সঙ্গে পরিচিত নন তাদের কাছে বিষয়টি খটকা লাগবে। কিন্তু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই যে কেউ বুঝতে পারবেন যে, তারা মাদকের কাস্টমার খুঁজছে।
অন্যদিকে দেখা যায়, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ রিকশায় এসে মাদক সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। আবার দেখা যায়, কেউ ফর্মাল পোশাকে এসে কিনে নেয় এই মাদক। মাঝেমধ্যে দেখা মেলে পুলিশের, কিন্তু পুলিশ একদিকে টহল দেয় অন্যদিকে নির্ভয়ে ইয়াবা-গাঁজা বিক্রি চলে। এটা নিত্যদিনের চিত্র।
দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু এই এলাকায় মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। মাঝেমধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও থানা পুলিশ অভিযান চালায়। আটকও করা হয় জড়িতদের। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও এখানে কমছে না মাদক ব্যবসা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকলেও কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না এই মাদক ব্যবসা। তাদের গ্রেফতার করা হলেও কয়েকদিন পর কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে সংশ্লিষ্টরা আবার শুরু করে এই ব্যবসা। এখানে ছিন্নমূল মানুষেরাও এই মাদক ব্যবসা করে।
সরেজমিন দেখা যায়,নারায়ণগঞ্জের ২নং গেইট রেললাইনের দুই পাশেই একশ্রেণির ছিন্নমূল মানুষ মাদক বিক্রি করছে। গাঁজা-ইয়াবা ছাড়াও ফেনসিডিল ও হেরোইন এখানে খুব সহজেই মেলে। তবে গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা রমরমা। দেখা যায়, এলোমেলো চুল, ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে পাশে এসে বলছে ভাই লাগবে, ভালো মাল আছে। ৭০ টাকা পুটুলি। লাগলে নিতে পারেন। একটু সামনে গেলেই এক নেশাগ্রস্ত লোক বলছে ‘ভাই কয়টা’।
২ নং রেল গেইট এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী বিউটির আদলে চলছে পুরো এলাকা জুড়ে মাদক ব্যবসা। বিউটির দলে রয়েছে ডজন খানেক নারী মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে অন্যতম ১) মোরনী, স্বামী- সোহেল, মাতা- পাখি, ২) টুকু, স্বামী- ফারুক, ৩) সাবিনা, মাতা- পাখি, ৪) তাহমিনা, পিতা- কালাম, মাতা- তাসলী, ৫) দুলালী, পিতা- দুলাল মিয়া, মাতা- তাসলী, ৬) বিল্লাল, পিতা- দুলাল, মাতা- তাসলী, ৭) রুবেল, পিতা- ফকির চাঁন, মাতা- শাহনাজ, ৮) মাহমুদা, স্বামী- রুবেল, ৯) সৌরভ,১০)কামাল (প্যাথারিন)১১)দিপু।